স্বর্ণমন্দিরে সিধু-সহ কংগ্রেস বিধায়করা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই একের পর এক বৈঠক করে ‘শক্তি প্রদর্শন’ শুরু করেছিলেন তিনি। বুধবার লাক্সারি বাসে চড়িয়ে রাজ্যের ৪০ জন কংগ্রেস বিধায়ককে অমৃতসর স্বর্ণমন্দির দর্শন করাতে নিয়ে গেলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। কিন্তু এই কর্মসূচিতে দেখা গেল না পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীদের।
এরই মধ্যে সিধু শিবির অমরেন্দ্র সিংহের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছে। সিধু ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক পরাগত সিংহ বুধবার বলেন, ‘‘কেন সিধু ক্ষমা চাইবেন। এটি কোনও জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নয়। বরং মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার জন্য জনতার কাছে ক্ষমা চাওয়া। সিধু ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী সুখজেন্দ্র সিংহ রণধাওয়া এবং রাজেন্দ্র সিংহ বাজওয়াও বুধবার অমরেন্দ্রকে অহংবোধ বিসর্জন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সিধু। কিন্তু দলীয় ‘সহযোদ্ধা’ এখনও অমরেন্দ্র তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। অমরেন্দ্র শিবিরের দাবি, সিধু প্রকাশ্যে একাধিক বার রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে অমরেন্দ্র দেখা করবেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে।
অমৃতসর পূর্বের বিধায়ক সিধু বুধবার রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছিলেন তাঁর নির্বাচনকেন্দ্রে। পঞ্জাবের মোট ৮০ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে মোট ৬২ জন সেখানে হাজির ছিলেন বলে বিভিন্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। এর ফলে পঞ্জাব কংগ্রেসে গত কয়েক বছর ধরে অমরেন্দ্রর ‘নিরঙ্কুশ প্রাধান্য’ প্রশ্নের মুখে পড়ল বলেও মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy