Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
MK Stalin

তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি স্ট্যালিনের

চিঠিতে রাজ্যপাল রবি ‘পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন’ বলে দাবি করা হলেও, তাঁর অপসারণের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির হাতেই ছেড়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।

Qualifies to be removed, MK Stalin versus governor reaches president

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এবং রাজ্যপাল আরএন রবি। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩ ২০:২৪
Share: Save:

‘কেন্দ্রের এজেন্ট’ হয়ে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার ‘উপায় খুঁজছেন’ রাজ্যপাল। এই অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। সে রাজ্যের রাজ্যপাল আরএন রবির সঙ্গে ডিএমকে সরকারের টানাপড়েন অবশ্য নতুন নয়। সেই আবহেই নতুন মাত্রা যোগ করল স্ট্যালিনের এই চিঠি। এই চিঠিতে রাজ্যপাল রবি ‘পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন’ বলে দাবি করা হলেও, তাঁর অপসারণের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির হাতেই ছেড়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।

তামিলনাড়ুতে সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের নয়া সংঘাতের সূচনা হয় দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার ডিএমকে নেতা এবং মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজিকে মন্ত্রিসভায় রাখা নিয়ে। নিয়োগে দুর্নীতি ও আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে জেলবন্দি সেন্থিলের মন্ত্রিপদ খারিজ করে দেন রাজ্যপাল। ডিএমকে-র অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল, যা নাকি তিনি করতে পারেন না।

সাধারণত, কোনও মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাজ্যপাল সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করেই ‘একতরফা’ ভাবে দলের মন্ত্রীকে সরানোয় ক্ষোভপ্রকাশ করে ডিএমকে সরকার। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেন, ‘‘এক জন মন্ত্রীকে সরানোর কোনও অধিকার নেই রাজ্যপালের। আমরা আইনি পথে যাব।’’ রাজ্যপালের সঙ্গে স্ট্যালিন সরকারের সংঘাত অবশ্য নতুন নয়। রাজ্যপালের ‘অসাংবিধানিক’ আচরণ নিয়ে গত বছরও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পিটিশন দিয়েছিল ডিএমকে।

তামিলনাড়ুর এই ঘটনা মনে করিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেও। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও নানা বিষয়ে নবান্নের সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে এই রাজ্যের মন্ত্রীও জেলবন্দি। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। অবশ্য পার্থের গ্রেফতারের পর তাঁকে মন্ত্রিপদ থেকে সরান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে গ্রেফতারির পর সেন্থিলকে মন্ত্রিপদ থেকে সরাননি মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। দফতরহীন অবস্থায় সেন্থিলকে মন্ত্রিপদে বহাল রেখেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE