ভোট কমছিলই। এ বার স্পষ্ট হল, বহরেও কমছে সিপিএমের। দলের নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, চিন্তার কারণ নেই। অস্বাস্থ্যকর বাড়তি মেদ ঝরছে।
এপ্রিলে হায়দরাবাদে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস। তার আগে দলের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে সিপিএম দেখছে, গত তিন বছরে বাংলায় সিপিএমের সদস্য কমেছে প্রায় ৫০ হাজার। ও হিসেব অবশ্য চূড়ান্ত নয়। তবে সদস্য কমে যাওয়া নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক সাংগঠনিক রিপোর্টে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০১৫-র ডিসেম্বরে কলকাতায় পার্টির সাংগঠনিক ‘প্লেনামে’ সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সংখ্যার চেয়ে পার্টি সদস্যের গুণগত মান বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হবে। তার জন্য পাঁচটি সূত্রও ঠিক হয়। সেই সিদ্ধান্তের রূপায়ণ এক বছর হল শুরু হয়েছে। তাই আমরা চিন্তিত নই। কারণ, উদ্দেশ্যই ছিল সদস্যদের গুণগত মান বাড়ানো।’’
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের ব্যাখ্যা, পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল দল। অনেক বেনোজল ঢুকেছিল। পার্টির সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও শিথিলতা এসেছিল। এখন বেনোজল বেরিয়ে গিয়েছে। সিপিএমের পোশাকি পরিচয় এখন হল— ‘রেভলিউশনারি পার্টি উইথ আ মাস লাইন’। সেই অনুযায়ী পার্টির সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়া ছাঁকনি বসানো হয়েছে। সদস্যদের মতাদর্শগত ঝোঁক চলে গেলে, দলের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ না নিলে সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে না।
শুধু বাংলায় নয়, সদস্য কমেছে গোটা দেশেই। তিন বছর আগে ২১-তম পার্টি কংগ্রেসের আগে সিপিএমের সদস্য ছিল ১০ লক্ষ ১০ হাজার মতো। এখন তা ১০ লক্ষের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে ধস নেমেছে আরও বেশি। প্রায় ৩ লক্ষ থেকে বাংলায় সদস্য সংখ্যা আড়াই লক্ষেরও নীচে নেমে এসেছে। এর মধ্যে অবশ্য গণসংগঠনের সদস্য ধরা নেই। তবে কেরলে পার্টির সদস্যসংখ্যা বেড়েছে। সেই কারণেই সার্বিক ভাবে সদস্যপদে ধস অনেকটা আটকানো গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy