হাতের সামনে যা ছিল তা দিয়েই এলোপাথাড়ি, দুমদাম চলল মার। প্রথমে স্টিলের ডাস্টবিন তুলে নিয়ে বার বার আছাড় মারা হল তাঁর শরীরে। সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরে মেঝেতে লুটিয়ে পড়লেন যুবকটি। বহু মিনতি করলেন ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
ওই যুবক যাতে নিজেকে কোনও ভাবে না বাঁচাতে পারে, সে জন্য তাঁর হাত-পা ধরে আটকে রাখা হল। সেই অবস্থাতেই নাখ, মুখ, পেট, শরীরের সব অংশেই চলল অজস্র লাথি, ঘুষি। তিনি একা। কিন্তু তাঁকে ঘিরে ধরে একদল ভারতীয়। চলল অকথ্য অত্যাচার।
আরও পড়ুন: সদ্যজাত কন্যাসন্তান উদ্ধার বালির গর্তে, তখনও অক্ষত নাড়ি
এখানেই শেষ নয় তাঁর গায়ে ছুড়ে দেওয়া হল আর্বজনা আর মল। এত ক্ষণ একটি নামী শপিং মলের ভিতরেই চলছিল সমস্ত ঘটনা। এতেও আশ মেটে না তাদের! বাইরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়েও বেশ খানিক ক্ষণ প্রহার চলল। এক জনও এগিয়ে এলেন না তাঁকে উদ্ধার করতে! কী অপরাধ ছিল তাঁর? তিনি আফ্রিকার নাগরিক। এইটুকুই তাঁর অপরাধ? আর এই ‘দোষে’ই নির্বিচারে চলল অত্যাচার। গোটা ঘটনাটি মোবাইল বন্দি হল।
গ্রেটার নয়ডার আনসাল প্লাজার ঘটনা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক আফ্রিকান যুবকের উপর হামলা চালাচ্ছে এ দেশের একদল মানুষ। এই ভিডিওটি সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
উত্তরপ্রদেশে অনাবাসী নাইজিরীয়দের উপর হামলা চলছে। উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। এ বার বিদেশ থেকে আসা পড়ুয়াদের উপর হামলার খবর এল খোদ রাজধানী থেকে। হামলার ঘটনার ভিডিওটি সামনে আসতে নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন।
দেখুন সেই ভিডিও
আফ্রিকা থেকে আসা বহু পড়ুয়াই গ্রেটার নয়ডায় থাকেন। এই ধরনের ঘটনা বেড়ে চলায় তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছে ভারতে বসবাসকারী আফ্রিকান ছাত্রদের সংগঠন। গ্রেটার নয়ডার এক পুলিশ আধিকারিক ধর্মেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তিনটি জায়গায় আফ্রিকান বাসিন্দাদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। যে সমস্ত এলাকা এবং হস্টেলে আফ্রিকান পড়ুয়া থাকছেন, সেখানে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। গত বছরের মে মাস নাগাদ দেশজুড়ে আফ্রিকানদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy