বিতর্কিত রাধে মা। ছবি: টুইটার।
খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না রাধে মা-র! সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মিনি স্কার্ট পরা ছবি দেখে তোলপাড় সারা দেশ, এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে বেপাত্তা এই গুরু মা। অন্তত মুম্বই পুলিশের কাছে তাঁর কোনও খোঁজ নেই।
বিতর্ক এবং রাধে মা যেন একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। বৃহস্পতিবার রাধে মা-র কয়েকটি ছবি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আপ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রমোদ মহাজনের পুত্র রাহুল মহাজন। ছবিতে ধর্মগুরুর বেশে নয় স্বল্প পোশাকে লাস্যময়ী ভঙ্গিমায় দেখতে পাওয়া যায় রাধে মাকে। ছবিতে মিনি স্কার্ট পরা গুরু মা-কে দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় তাঁর ভক্তকুলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হট অ্যান্ড সেক্সি’ রাধে মাকে দেখে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুল মহাজনের টুইটার অ্যাকাউন্টটি।
বিতর্কিত এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হদিশ নেই রাধে মা-র। তাঁর নিজস্ব সাইট বা তাঁর ফেসবুক পেজ থেকেও তাঁর কোনও খোঁজ মিলছে না। কখনও গুজব উঠছে তিনি আছেন দেশের বাইরে। কখনও বলা হচ্ছে বিদেশ নয় দেশের কোনও প্রান্তেই লুকিয়ে রয়েছেন এই গুরু মা।
এর মধ্যেই শুক্রবার নতুন এক অভিযোগ উঠেছে রাধে মা-র বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, সুরেন্দ্র মিত্তল নামে পঞ্জাবের এক বাসিন্দা সম্প্রতি পুলিশের কাছে রাধে মা-র বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ করেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি অডিও টেপ পুলিশের কাছে জমা দেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, ২০০৫ সালে রাধে মার বিরুদ্ধে পণ চেয়ে প্ররোচণার অভিযোগ জানান মুম্বইয়ের এক গৃহবধু। এর পর গত এপ্রিলে এক রাতে ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন বিতর্কিত ওই ধর্মগুরু। মুম্বইয়ের ওই গৃহবধুকে সাহায্য করার কারণে তাঁকে মানসিক হেনস্থা করেন রাধে মা। এমন কী, এই সাহায্যের মাশুল দিতে হবে বলে তাঁকে হুমকিও দেন রাধে মা।
এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অডিও টেপের আওয়াজের সঙ্গে হুবহু মিলে যায় রাধে মা-র গলা। এর পরই রাধে মা-র খোঁজে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্ত সেখানে দেখা মেলেনি এই গুরু মা-র। মুম্বই পুলিশের ওই রিপোর্টে খবর, মহারাষ্ট্রের একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন রাধে মা। এত দিন যাবতীয় বিতর্ক সত্ত্বেও দিব্যি ‘গুরুবিদ্যা’ চালিয়ে যাচ্ছিলেন সানি লিওনের ভক্ত এই ধর্মগুরু। এখন দেখার এ বার কী ভাবে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেন।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy