রাহুল গাঁধী।
বিজেপি এবং আরএসএস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তা পাকিস্তানের কথা মনে পড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন রাহুল গাঁধী।
আজ ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, গোটা দেশে আতঙ্কের পরিস্থিতি, বিচার বিভাগও হুমকির মুখে। বিচারপতিরা সাধারণ মানুষের সাহায্যপ্রার্থী। যোজনা কমিশন থেকে সংবাদমাধ্যম— সর্বত্র নিজেদের লোক ঢুকিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে আরএসএস। রাহুলের তোপ, ‘‘এ সব তো পাকিস্তান আর একনায়কতন্ত্র চলতে থাকা আফ্রিকার কিছু দেশে ঘটে থাকে।’’
টুইটারেও এ দিন রাহুল লেখেন, ‘কর্নাটকে সংখ্যা না থাকলেও সংবিধানের উপহাস করছে বিজেপি।’ একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল বজুভাই বালা। আজ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। রাহুলের প্রশ্ন— গোয়া, মণিপুর, মেঘালয়, বিহারের মতো রাজ্যে একক বৃহত্তম দলকে সরকার গড়তে ডাকা হয়নি কেন? কংগ্রেসের মতে, এটাই নরেন্দ্র মোদীর মডেল। সেই মডেল তুলে ধরেই আগামিকাল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস’ পালন করবে তারা। সেই সব রাজ্যের রাজ্যপালদের কাছে নেতারা যাবেন, যেখানে সর্বাধিক আসন পাওয়া দলকে সরকার গড়তে ডাকা হয়নি।
এই আন্দোলনের মধ্যে সুকৌশলে মোদী-বিরোধী জোটের সুরটি বাঁধতে চাইছেন রাহুল। বিহারে আগামিকাল রাজ্যপালের কাছে যাবেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন যশবন্ত সিন্হা। মুখ খুলেছেন মায়াবতী। সরব শিবসেনাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে বলেছেন, ‘‘দু’টো দল লিখিত ভাবে রাজ্যপালকে যে সংখ্যা দিয়েছে, সেটাকে সম্মান করা উচিত। আমি জানি না, মাননীয় রাজ্যপাল কেন কুমারস্বামীকে ডাকলেন না। কংগ্রেসের কথা বলছি না, কারণ আমি সব সময়ে আঞ্চলিক দলের পক্ষে।’’
রাহুল বলেছেন, ‘‘কর্নাটকে এক দিকে বিধায়কেরা, অন্য দিকে রাজ্যপাল।’’ কাল ছত্তীসগঢ়ে তাঁর রোড-শো। কুমারস্বামী বিজেপির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকায় বিধায়ক কেনার যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন রাহুল। মমতা বলেন, ‘‘ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি শুরু হলে দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, সম্মান এবং সভ্যতার সর্বনাশ হবে। যে-ই করুক না কেন, আমি তার নিন্দা করছি।’’
রাহুলের পাল্টা মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস যখন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে জেডিএসকে সুবিধাবাদী জোটের প্রস্তাব দিল, তখনই গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। জরুরি অবস্থা, রাষ্ট্রপতি শাসনের অপব্যবহার, আদালত-সংবাদমাধ্যমকে দমনের ইতিহাস রাহুল গাঁধীরই দলের ঐতিহ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy