কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে লোকসভায় সবথেকে ভাল কে বলেছেন? প্রশ্ন ছুড়লেন রাহুল গান্ধী। শর্ত দিলেন, উত্তরে তাঁর নাম বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নাম বলা যাবে না! বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধ শেষ হল। শেষ দিনে বিরোধী দলনেতা দলের ১০০ জন সাংসদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সবার কাজের মূল্যায়ন করেন। তিনটি মাপকাঠি ছিল। উপস্থিতি, বিরোধীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ও বক্তৃতা। মণিপুরের বিমল আকোইজম, উত্তরপ্রদেশের উজ্জ্বলরমণ সিংহ ও হরিয়ানার বরুণ চৌধরি প্রথম তিনে উঠে আসেন। কোন বিষয়ে দলের সরব হওয়া উচিত, তা-ও জানতে চান রাহুল।
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লির বিধানসভায় হারের পরে আজ থেকে কংগ্রেসে শুরু হল সাংগঠনিক রদবদলের সলতে পাকানো। ওড়িশায় ভক্তচরণ দাসকে প্রদেশ সভাপতি করার পরে মহারাষ্ট্রে নানা পাটোলেকে সরিয়ে রাহুলের আস্থাভাজন হর্ষবর্ধন সপকালকে প্রদেশ সভাপতি করা হল। তিনি মহারাষ্ট্রের বিধায়ক এবং রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েতি রাজ সংগঠনের সহ-সভাপতি।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের দাবি, হরিয়ানা, অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদলও হবে। এইআইসিসিতে অসম, বিহার, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, উত্তরাখণ্ডের পর্যবেক্ষক বদলাবে। ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী, রাহুলের আস্থাভাজন মীনাক্ষী নটরাজন, সচিন রাও, অজয় কুমার লাল্লুদের সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)