প্রবীণরা নিজেদের মধ্যেই চাপানউতোরে ব্যস্ত। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরোধিতায় তাই দলের যুব সংগঠনকে মাঠে নামালেন রাহুল গাঁধী। তাঁরাই আজ দিল্লি দাপিয়ে বেড়ালেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বাড়ির সামনে ধর্না দিলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দোরগোড়ায় থালাবাসন পেটালেন। আর কৃষি মন্ত্রকের সামনে পোড়ালেন সরকারের ‘ঝুটো প্রতিশ্রুতির’ কুশপুতুল! তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিও চালাতে হল পুলিশকে।
মাত্র ক’দিন আগেই কংগ্রেসে নবীনদের বিদ্রোহের মুখে পড়েছিলেন প্রবীণরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কিছু প্রবীণ নেতা মোদী সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা না করে নিজেদের মধ্যে চাপানউতোরে ব্যস্ত। কাজের কথা বলছেন না, উল্টে রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে দলের ক্ষতি করছেন। কিন্তু এতেও যে দলের প্রবীণ নেতারা খুব একটা নড়েচড়ে বসেছেন তা নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরাও রাজ্য স্তরে কোনও আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রবীণদের ভরসায় না থেকে রাহুল নিজেই সম্প্রতি যুব কংগ্রেস নেতাদের মাঠে নামার নির্দেশ দেন। বলেন, মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে সীমান্তে সন্ত্রাস দমনে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে পথে নামতে হবে সংগঠনকে। মানুষকে বোঝাতে হবে, যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, তা পূরণের ক্ষমতা তাঁদের নেই।
কংগ্রেস সহসভাপতির নির্দেশে দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি চেয়েছিল যুব কংগ্রেস। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা দিল্লি পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। যুব কংগ্রেসের নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা তাই আজ মন্ত্রীদের বাড়ি ও দফতরের সামনে গিয়ে ধর্না শুরু করেন। যুব কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রাণী মিশ্র বলেন, “মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সেই কারণেই সরকারের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। তাই যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের অনুমতি তো দেয়ইনি, উল্টে যুব কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের ওপরে লাঠি চালানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy