প্রতীকী ছবি।
যাত্রীদের এক ঘণ্টা ঘুমের সময়ের ‘কেড়ে’ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল। কথাটা শুনে আশ্চর্য লাগলেও এমনই নিয়ম আনা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর। এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনগুলোর স্লিপার কোচের যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বিষয়টা ঠিক কী?
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র-বাধা পেরিয়ে সফল সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প
রেলের নিয়ম অনুযায়ী স্লিপার কোচগুলোতে যাত্রীদের ঘুমোনোর সময় রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা। কিন্তু দেখা যায়, অনেক যাত্রীই সেই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। ফলে সহযাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হয়েই থাকে। আমরা জানি, সংরক্ষিত কামরাগুলোতে তিন ধরনের বার্থ থাকে। আপার, মিডল এবং লোয়ার বার্থ। দিনের বেলায় লোয়ার বার্থের যাত্রীর সঙ্গে বাকি দুই বার্থের যাত্রীরা সেই আসন শেয়ার করে থাকেন। রাত হলেই যে যাঁর সংশ্লিষ্ট বার্থে চলে যান। সমস্যাটা এখানে নয়। রেল বলছে, সমস্যা তখনই হয় যখন লেয়ার বার্থের যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুতে চলে যান। অগত্যা সমস্যায় পড়তে হয় বাকি দুই সহযাত্রীকে। একই ভাবে মিডল বার্থের যাত্রী যদি নির্ধারিত সময়ের আগে বার্থে শুয়ে পড়েন, সমস্যায় পড়েন অন্য দুই বার্থের যাত্রীরা। ফলে একটা মনোমালিন্য এবং ঝগড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। রেলের নিয়ম বলছে, সকাল ৬টার পর থেকে আর ঘুমোনো যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম শুধু কাগজে-কলমেই রয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর স্লিপার কোচ থেকে ঘুমোনোর সময় নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে নানা অভিযোগ উঠেছে। তাই রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাত ৯টা নয়, এ বার থেকে যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট বার্থে ঘুমোতে যেতে হবে রাত ১০টায়। আর উঠে পড়তে হবে সকাল ৬টার মধ্যেই।
আরও পড়ুন: ‘জন কি বাতে’ দৈনিক খোঁচা কংগ্রেসের
রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অনিল সাক্সেনা বলেন, “স্লিপার কোচে ঘুমোনোর বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের নানা রকম অভিজ্ঞতার তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আগে থেকেই রেলের একটা নিয়ম রয়েছে। যাই হোক, বিষয়টি নতুন করে আলোচনা করার পরই ঘুমের সময় কম করার চিন্তাভাবনা চলছে।” তবে অসুস্থ ব্যক্তি, প্রসূতি এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড–দের এই নিয়মের বাইরে রাখা হবে বলে জানিয়েছে রেল।
বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, আগেও তো নিয়ম ছিল, কিন্তু সেই নিয়ম কোনও ভাবেই মানেননি অনেক যাত্রী। সময় কমিয়ে কি এই সমস্যায় রাশ টানা যাবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy