Advertisement
E-Paper

স্কুলপাঠ্যে বাদ পড়তে পারে জহর ব্রতের ছবি

স্কুলপাঠ্যে ব্যাপক রদবদলের পিছনে রাজনীতি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০১:০৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নামের আগে ‘বীর’ উপাধি তুলে দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজস্থানের স্কুলপাঠ্য বইয়ে সংশোধন শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের নয়া কংগ্রেস সরকার। সূত্রের খবর, বই থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে জহর ব্রত সংক্রান্ত ছবিও। কারণ, রাজ্যের স্কুল-শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ ডোটাসরা মনে করেন, এই ধরনের ছবি পাঠ্যপুস্তকে রাখা মানে আত্মহত্যাকে উৎসাহ দেওয়া।

তবে স্কুলপাঠ্যে ব্যাপক রদবদলের পিছনে রাজনীতি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৮-র মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজস্থানের স্কুলপাঠ্য বইয়ে যা-ইচ্ছে-তাই বদল করে গিয়েছে বিজেপির সরকার। পাঁচ মাস আগে ফের ক্ষমতায় এসে এ বার তাই স্কুলপাঠ্য বইয়ে ঢালাও সংশোধনের ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হবে নয়া সিলেবাস।

ক্ষমতায় এসেই কংগ্রেস সরকার একটি পাঠ্যপুস্তক পুনর্বিবেচনা কমিটি তৈরি করে। সূত্রের খবর, সেই কমিটির সুপারিশ মেনে সমাজবিজ্ঞানের বইয়ে সাভারকরকে নিয়ে একটি অধ্যায়ের পরিবর্তন করা হয়েছে। তাঁর নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি সরিয়ে এখন বলা হচ্ছে, সাভারকর মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এক বার ব্রিটিশ শাসকের কাছে ‘ক্ষমা চেয়ে’ নিজের কারাদণ্ডের মেয়াদও কমিয়েছিলেন।

স্কুলপাঠ্যে রদবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ। তাঁদের কথায়, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির অনুপ্রবেশে আসল ক্ষতিটা হচ্ছে পড়ুয়াদেরই। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত যদিও আজ এ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সিলেবাসে বদল নিয়ে কমিটির সুপারিশ নেহাতই রুটিনমাফিক।’’

বিতর্ক তবু থাকছেই। বিশেষত অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বই থেকে জহর ব্রতের ছবি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে। আজও বিষয়টি নিয়ে টুইটারে গোবিন্দ সিংহ বলেন, ‘‘রানি সতীর কথা বলে আমরা স্কুলের মেয়েদের আত্মহত্যার জন্য উস্কানি দিতে পারি না। প্রথাটাই তো নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে!’’ এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে জয়পুরের রাজকন্যা তথা রাজসমন্দের বিজেপি প্রার্থী দিয়া কুমারী স্পষ্ট বলেন, ‘‘ইতিহাস না জেনেই সতী আর জহর-কে এক করে দেখা হচ্ছে। এ ভাবে স্কুলপাঠ্য বদলের নামে রাজপুত ঐতিহ্যকেই অসম্মান করা হচ্ছে।’’

এ দিকে শোনা যাচ্ছে, দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘নোটবাতিল’-এর অংশটি ছেঁটে ফেলার কথা চলছে। যদিও মন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ বলেন, ‘‘কথা একটা হয়েছে বটে, তবে কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ব্যর্থ একটা সরকারি প্রকল্প স্কুলপাঠ্যে রাখার কোনও মানেই হয় না।’’

Rajasthan Congress Jauhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy