খাগড়াগড়, সারদার তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যাওয়ার পরে কার্যত তলানিতে ঠেকেছে সম্পর্ক। বার বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যে সাংবিধানিক সম্পর্ক রক্ষায় উদ্যোগী তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পশ্চিমবঙ্গের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে হুদহুদ। সেই অর্থে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবু অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মতোই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন রাজনাথ।
ঝড়ের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ অন্ধ্রপ্রদেশ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রাথমিক পর্বে ১০০০ কোটি টাকার ত্রাণ ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যেরও ঘোষণা করেন মোদী। তার আগেই গত কাল অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজনাথ। আজ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হুদহুদ সে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব না ফেললেও রাজ্যের কিছু অংশে তা ছুঁয়ে গিয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের কোনও ধরনের কেন্দ্রীয় সাহায্য প্রয়োজন কি না তা জানার জন্য ফোন করেছিলাম।”
সারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্র বিরোধী ধর্নায় বসতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদেরা। কিন্তু কেন্দ্র যে সাংবিধানিক সম্পর্ক রক্ষা করতে চায় তা বুঝিয়ে দিলেন রাজনাথ। এর আগে রাজ্যপাল নিয়োগের আগেও ফোন করে মমতার সম্মতি নিয়েছিলেন রাজনাথ। আবার রাজনৈতিক ভাবে যে মমতাকে রেয়াত করা হবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। দলের সভাপতি অমিত শাহ আজ বলেন, “সাংবিধানিক কারণে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু আমি রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের অপশাসন, দুর্নীতি নিয়ে সরব থাকব। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তিন বছরেই তৃণমূলের অপশাসনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy