আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এম ভি কেম প্লুটো’-র উপরে হামলাকারীদের প্রয়োজনে সমুদ্রের তলা থেকে খুঁজে বার করা হবে বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জাহাজের উপরে ক্রমাগত হামলার প্রেক্ষিতে আরব সাগরে নৌসেনার তিনটি জাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত।
লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘এম ভি কেম প্লুটো’ সৌদি আরবের আল জুবেইল বন্দর থেকে ভারতের নিউ মেঙ্গালুরু বন্দরে অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাচ্ছিল। ভারতের উপকূলের কাছে আরব সাগরে ড্রোন হামলার শিকার হয় সেটি। অক্ষতই ছিলেন জাহাজের ২০ জন ভারতীয় ও ভিয়েতনামি নাবিক। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের প্রহরায় গত কাল জাহাজটি মুম্বই বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। অন্য দিকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে গ্যাবনের পতাকাবাহী একটি জাহাজও ড্রোন হামলার শিকার হয়। তাতেও ২৫ জন ভারতীয় নাবিক ছিলেন।
ইরানের মদতে পুষ্ট ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরাই এই হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের। ইজ়রায়েল-হামাস লড়াইয়ে হামাসকে সমর্থন করার জন্যই তারা এই হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে হুথিরা। আমেরিকা সরাসরি আঙুল তুলেছে ইরানের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন,‘‘সাগরে এই আক্রমণের ঘটনাগুলি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রয়োজনে হামলাকারীদের সমুদ্রের নীচ থেকেও খুঁজে বার করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের উন্নয়নে কিছু দেশ ক্ষুব্ধ।’’
নৌসেনা জানিয়েছে, জাহাজে পরপর হামলার প্রেক্ষিতে আরব সাগরে তিনটি ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ শ্রেণির জাহাজ মোতায়েন করেছে তারা। ‘আইএনএস মার্মাগাঁও’, ‘আইএনএস কোচি’ ও ‘আইএনএস কলকাতা’-র উপস্থিতির ফলে এই ধরনের হামলার সম্ভাবনা কমবে বলে আশা ভারতের। ওই এলাকায় নজরদারির জন্য পি-৮১ নজরদারি বিমান ব্যবহার করবে নৌসেনা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)