মুদিখানার ছোট্ট ঘরটিতে একটা সিলিং পাখা, একটা টিউবলাইট, একটা ছোট ফ্রিজ। কিন্তু ইলেকট্রিক বিল পেয়ে চোখ ছানাবড়া মুদিখানার মালিকের। তাতে এপ্রিলের বিল হিসেবে তাঁর বকেয়া ৫৫ কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬ টাকা রয়েছে!
মাথা ঘুরে পড়েই যাচ্ছিলেন বছর তিরিশের কৃষ্ণ প্রসাদ। যেখানে তাঁর মুদিখানায় মাসে মেরেকেটে ৮০০ টাকা বিল আসে, সেখানে ৫৫ কোটি? ঘোর কাটতেই রাঁচির কাটরুর ওই মুদিখানার মালিক ভাবেন, কোথাও মারাত্মক ভুল হয়েছে। কিন্তু চমকটা সেখানে শেষ হয়নি। আজ ওই বিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়ার আগেই তাঁর দোকানে হাজির হন ওই দফতরের নিযুক্ত মিটার-রিডিং বিভাগের দুই কর্মী। কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘তাঁরা ২ লাখ টাকা চেয়ে হুমকি দেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘একে তো ভুল বিল পাঠিয়েছে। সেটা ঠিক করতে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ চাইছে’’
দোকানদারের ভাই জিতেন্দ্র প্রসাদ জানান, তাঁরা ওই দু’জনকে আটকে রেখে বিদ্যুৎ অফিস ও ঝাড়খণ্ড সরকারের সূচনা ভবনের জন সংবাদ কেন্দ্রে অভিযোগ জানান। দোকানে যান স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। বিল দেখে সকলেই হতভম্ব।
পরিস্থিতি সামলান বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারাই। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি মিটার-রিডিং কাজ করে বেসরকারি এক সংস্থা। কৃষ্ণ প্রসাদের বাড়িতেও ওই সংস্থারই দুই কর্মী যান। তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মিটার পরীক্ষা করে বিদ্যুতের বিল ঠিক করা হবে। তবু স্বস্তি নেই কৃষ্ণবাবুর। তাঁর ভাই জীতেন্দ্র বলেন, ‘‘দু’মাস মিটার-রিডিং হয়নি দোকানে। কে জানে ফের কত লক্ষ কোটি টাকার বিল পাঠাবে?’’ বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই দোকানে এখন ১০ হাজার টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। সফটওয়্যার বিভ্রাটে ওই ভুল বিল গিয়েছিল।