দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে ছুরি দিয়ে হামলার ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত সাকরিয়া রাজেশভাই খিমজি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। কেবল তা-ই নয়, ওই সূত্রের দাবি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যাওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। কিন্তু সেখানে আঁটসাঁট নিরাপত্তা থাকায় রণে ভঙ্গ দেন রাজেশভাই। সেখান থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার শালিমার বাগের বাসভবনে যান।
বুধবার সকালে নিজের বাসভবনে আয়োজিত ‘জনশুনানি’তে দিল্লিবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে থেকে রাজেশভাই কাগজপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে যান। তার পর গালিগালাজ শুরু করেন। আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর চুল টেনে ধরে চড় মারেন বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে ধরে ফেলে উপস্থিত জনতা। তার পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে সেই সময় তাঁর কাছে ছুরি ছিল না। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আঁটসাঁট নিরাপত্তা দেখে সিভিল লাইন্স এলাকায় ছুরিটি ফেলে দেন তিনি। কিন্তু নিরস্ত্র অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী রেখার বাসভবনের ভিতরে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।
আরও পড়ুন:
ধৃত রাজেশভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আগেই জানা গিয়েছিল, পথকুকুর সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথায় পাত্তা দেননি। এর পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত। তবে এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। কারণ, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট পথকুকুরদের যে নির্দেশটি দিয়েছিল, তা ছিল রাজধানী দিল্লিকেন্দ্রিক। কিন্তু অভিযুক্ত গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এই প্রথম বার অভিযুক্ত দিল্লিতে যান। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তের দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত, তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ অগস্ট রাজকোট থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অভিযুক্ত। রাজকোট থেকে অহমদাবাদে পৌঁছোন তিনি। সেখান মধ্যপ্রদেশের উজ্জৈন হয়ে দিল্লিতে যান রাজেশভাই। গত ১৯ অগস্ট নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পৌঁছেছিলেন তিনি। রবিবার এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত তাহসিন সৈয়দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।