Advertisement
E-Paper

গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকই! কী ভাবে কষেন প্রতারণার ছক?

রাজস্থানের কোটার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজার’ হিসাবে কাজ করতেন সাক্ষী গুপ্তা। অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই ব্যাঙ্কের ৪১ জন গ্রাহকের ১১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ ভাবে চার কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫ ১৫:০৫
Relationship manager of the bank misused the users FD money in stock market

গ্রেফতার হওয়া সেই মহিলা আধিকারিক সাক্ষী গুপ্তা। ছবি: সংগৃহীত।

ব্যাঙ্কে টাকা রাখা কি নিরাপদ? কোটার এক ব্যাঙ্কের মহিলা আধিকারিকের জালিয়াতির ঘটনায় ধাক্কা খেল গ্রাহকদের বিশ্বাস! অভিযোগ, ওই আধিকারিক গ্রাহকদের চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কী ভাবে তিনি প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিলেন? জানা গিয়েছে, শেয়ারে বিনিয়োগ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চহারে ‘রিটার্ন’ পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের থেকে টাকা হাতিয়েছিলেন ওই আধিকারিক। এই জালিয়াতি সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ব্যাঙ্কের অন্য কর্তারা।

রাজস্থানের কোটার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজার’ হিসাবে কাজ করতেন সাক্ষী গুপ্তা। অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই ব্যাঙ্কের ৪১ জন গ্রাহকের ১১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ ভাবে চার কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি। সেই টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। গ্রাহকেরা যাতে লেনদেন সম্পর্কে জানতে না পারেন, সেই জন্য তাঁদের মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করেন দেন তিনি। তাঁর আশা ছিল, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ থেকে লাভ হলে আসলটা আবার গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের খাতায় জমা দেবেন। কিন্তু বাজারে ধসের ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন সাক্ষী।

কী ভাবে ফাঁস হয় এই জালিয়াতি? ওই ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক যখন তাঁর ‘ফিক্সড ডিপোজিটের’ থাকা অর্থের বিষয়ে জানতে চান, তখনই জালিয়াতির বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কের তরফেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তদন্তকারী অফিসার ইব্রাহিম খান বলেন, ‘‘অভিযুক্ত তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।’’

তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে সাক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারি হওয়ার পর প্রতারিত এক গ্রাহক ব্যাঙ্কে এসে নিজের জমানো টাকার সম্পর্কে জানতে চান। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমরা কোথায় টাকা রেখে নিরাপদ থাকব? বাড়িতে রাখতে পারি না, এখন দেখছি ব্যাঙ্কেও টাকা রাখা নিরাপদ নয়। আমাদের এখন কী করা উচিত?’’ ব্যাঙ্কের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই জালিয়াতি সম্পর্কে কোনও বিবৃতি মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কই গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেবে।

Fraud Case bank fraud Money Fraud Bank Employee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy