অষ্টম পে কমিশন চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এই বিষয়ে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ, জনসমস্যা এবং পেনশন মন্ত্রকের অধীন কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী এবং সচিবদের। চিঠিটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক দীপক শর্মা। পর পর তিন বার চিঠি পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর। ফলে অষ্টম পে কমিশন গঠন করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়ে তিন দফায় অষ্টম পে কমিশনের কাজে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। প্রথম বার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, এপ্রিল মাসে। সে বার আবেদন করার সময়সীমা ২১ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। আবার দ্বিতীয় দফায় সময়সীমা বাড়ে ১০ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। আর এ বার সময়সীমা তৃতীয়বারের জন্য দীর্ঘায়িত হয়েছে। ৩০ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় সরকারের বার বার এ হেন সময়সীমা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত এক আধিকারিক মনে করছেন, ‘‘রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকেরাই কেবলমাত্র এই কাজে যোগদান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনের পর ইচ্ছুক আধিকারিকদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পরেই তাঁরা ওই কাজে যোগদান করতে পারবেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সে ক্ষেত্রে আবেদনের পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতি থেকেও আধিকারিকদের অব্যাহতি পেতে হবে। মনে হচ্ছে, কোনও আধিকারিক এখনও পর্যন্ত এই পদে কাজের জন্য আবেদন না করায় সরকারপক্ষকে বার বার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী এবং সচিবদের চিঠি পাঠাচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, অষ্টম পে কমিশনে মোট কেন্দ্রীয় সরকারের চার জন আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। অথচ পে কমিশন চালু করার সময়সীমা আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি। এ ক্ষেত্রে এখনও আধিকারিক নিয়োগ না হওয়ায় অষ্টম পে কমিশন আদৌ নির্দিষ্ট সময়ে চালু করা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে ধন্দে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা।