পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল আড়াইশো কোটি বছর আগে। আর দাক্ষিণাত্যে আণুবীক্ষণিক কোষের মধ্যেই সেই প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। ওই অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন কিলোমিটার গভীরে উদ্ধার হওয়া মাইক্রোব থেকে এমনই একটি তথ্য উঠে এসেছে খড়্গপুর আইআইটির এক দল গবেষকের হাতে।
অনলাইন ওপেন অ্যাক্সেস জার্নাল ‘নেচার’-এর ডিসেম্বর এডিশনে সন্ধান পাওয়ার এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক অধ্যাপক পিনাকী সরের নেতৃত্বাধীন আইআইটির গবেষকদের বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য প্রস্তাব দেয়।
সর জানান, যে মাইক্রোঅর্গানিজম পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ব্যাকটেরিয়া যেগুলো পৃথিবীর সৃষ্টির সময়ের, যে সময় ঘন ঘন ভূমিকম্প আর অগ্ন্যুত্পাত হত। আড়াইশো কোটি থেকে ৬৫০ লক্ষ বছরের মধ্যে পৃথিবী যখন ঠান্ডা হয় সে সময় প্রথম প্রাণের সঞ্চার হয় অণুজীবের মধ্যে। আর ডেকান ট্র্যাপেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো পাথর। আর সেই পাথরই ছিল এই সব অণুজীবের বাসস্থান।
আরও পড়ুন: এ বার স্মার্টফোনের ইশারায় চলবে জুতো! বাঁধতে হবে না ফিতেও!
আরও পড়ুন: মুকেশ অম্বানীর আয় চিকিৎসা-স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্র-রাজ্যের মিলিত বাজেটের চেয়ে বেশি!
সর আরও জানান, প্রাচীন এই পাথরের গভীরে অক্সিজেন, জল বা বাঁচার মতো রসদ নেই। পর্যাপ্ত আলোও ঢুকত না সেগুলোর ভিতরে। তাহলে সেই অণুজীবগুলো এত দিন বেঁচে ছিল কী ভাবে? সর জানান, ব্যকটেরিয়াগুলো খুব বুদ্ধিমান। প্রাণের রসদ না থাকলেও যে শুধু কার্বন আর অজৈব উত্সকে ব্যবহার করে কী ভাবে বেঁচে থাকা যায় এই ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে শিক্ষণীয়। তবে ব্যাকটেরিয়াগুলো বেঁচে আছে কি না সেটাই তাঁদের পরবর্তী গবেষণার মূল বিষয় বলেই জানান সর।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy