নির্বাচনের ফল যে দিন বেরলো, সে দিন সন্ধ্যায় নবনির্মিত প্রাসাদোপম দলীয় সদর কার্যালয়ে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন— ‘নিন্দুকেরা বলে বিজেপি হিন্দি পার্টি, কিন্তু এ বার কর্নাটক বিজয় সম্ভব হল।’
কোনও সন্দেহ নেই, আজ ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফা ২০১৯-এর আগে নরেন্দ্র মোদীর জন্য বড় ধাক্কা। বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেই ফেললেন— এ তো আমও গেল, ছালাও গেল।
শঙ্কর দয়াল শর্মা সুযোগ দিলেও, একদিন অটলবিহারী বাজপেয়ী পারেননি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে। তিনি ইস্তফা দেন। কিন্তু সে দিন আর আজ এক নয়।
মোদী-অমিত জামানায় জনমত তীব্র হয়ে গেছে যে, তাদের দলের কাছে আছে কোটি কোটি টাকার ‘রাজকোষ’| কে যে রটিয়েছিল ১০০ কোটি টাকা বাজেট কে জানে! সমস্যা হচ্ছে, বাজপেয়ী সম্পর্কে মানুষ বিশ্বাস করেনি, কিন্তু আজ ইয়েদুরাপ্পার ভাবমূর্তি অনেক দিক থেকেই কালিমালিপ্ত!
ভারতের রাজনীতিতে অনেক প্রধানমন্ত্রীর শেষ দু’বছর বড় কঠিন| নরসিংহ রাও থেকে রাজীব গান্ধী— প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই দুর্যোগ বেড়েছে শেষ বেলায়| এ বার উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন থেকে পরাজয় বার্তা আসা শুরু হয়েছে| উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর থেকে শুরু করে রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচন— একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে| মোদী তাই ইয়েদুরাপ্পাকে ব্যক্তিগত ভাবে অপছন্দ করলেও ভোট জেতার জন্য আপস করেন| যে ঝুঁকি তিনি হরিয়ানা বা মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে নিয়েছিলেন, তা কর্নাটকে নেননি|
আরও পড়ুন: কর্নাটকে রণে ভঙ্গ দিল বিজেপি, ইস্তফা ইয়েড্ডির, সোমবার শপথ কুমারস্বামীর
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না| ২০১৯-এর আগে এই ফলে রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ল। অর্থবল-বাহুবল থাকা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধীর কাছে এ যাত্রা পরাস্ত হতে হল মোদীকে| রাহুল এ বার নিজেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন। আজ থেকেই।
আরও পড়ুন: খেলার মোড়টা ঘুরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট, দেখে নিন যে পথে যবনিকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy