অধিকাংশ দিন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মিড-ডে মিলের খাবার না দেওয়ায় পচন ধরছে চালে। করিমগঞ্জ জেলার চান্দবাড়ি এলাকার রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ এমই স্কুলের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিড-ডে মিলের চালের একটা অংশ এক শিক্ষকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে অভিযোগ করেও কোনও ফল হয়নি।
১৯৬১ সালে দত্তগ্রামের চান্দবাড়ি এলাকায় বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়ের ভূমি দান করেন স্থানীয় এক বিশিষ্ঠ মানুষ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুল পরিচালন সমিতিতে ভূমিদাতাদের প্রতিনিধি থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে সেই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ভূমিদাতা পরিবারের সদস্যের নাম। স্থানীয়দের মতে, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে ওই পরিবার প্রায়শই সরব হন। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্য এ ধরনের দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষক-সহ প্রধান শিক্ষককে। তাই এবারের পরিচালন সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ভূমিদাতার পরিবারকে।
কিন্তু আজ যখন সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ে হাজির হন তখন ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য মন্মথবাবুও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসা চাল প্রায়শই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বাড়িতে চলে যায়। অনেকদিন ছাত্রছাত্রীদের দুপুরের খাবার দেওয়াই হয় না। ফলে বিদ্যালয়ে রাখা চালেও পচন ধরেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সইফুদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা দুশোরও বেশি। কিন্তু প্রতিদিন ২০০ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকেন না। তাই কিছু চাল প্রতি মাসেই উদ্বৃত্ত থেকে যায়। সেই চাল বিদ্যালয়ের গুদামে থাকার জন্য তাতে পচন ধরেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।