Advertisement
০২ মে ২০২৪
Tej Pratap Yadav

হোটেলে লালুপুত্রের ঘর থেকে বার করে দেওয়া হল মালপত্র! রাতে শহর ছাড়তে বাধ্য হলেন তেজপ্রতাপ

বারাণসীর হোটেল থেকে ঘাটদর্শনে বেরিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ যাদব। এসে দেখেন ঘর থেকে মালপত্র বার করে দেওয়া হয়েছে।

image of tej pratap yadav

গভীর রাতেই হোটেল ছাড়তে বাধ্য হলেন বিহারের মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব। থানায় অভিযোগ করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র। — ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বারাণসী শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২৬
Share: Save:

বারাণসীর হোটেলের ঘরে মালপত্র রেখে বেরিয়েছিলেন। ফেরার আগেই ঘর থেকে মালপত্র সরিয়ে রিসেপশনে রেখে দিলেন কর্মীরা বলে অভিযোগ। অগত্যা গভীর রাতেই হোটেল ছাড়তে বাধ্য হলেন বিহারের মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব। থানায় অভিযোগ করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র। এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের কর্মীরা জানতেন না ওই ঘরে তেজপ্রতাপ ছিলেন। না জেনেই মালপত্র সরিয়ে দিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এসিপি) সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, ‘‘সিগরা থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় এই ঘটনা হয়েছে। সেখানে ৬ এপ্রিল এক রাতের জন্য হোটেলে একটি ঘর বুক করেছিলেন তেজপ্রতাপ। পরের দিন ঘাটদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে আসেন সন্ধ্যায়।’’

এসিপি জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল হোটেলের ঘর যিনি বুক করেছিলেন, তিনি এসে উপস্থিত হন। তার পরেই হোটেলের কর্মীরা তেজপ্রতাপের মালপত্র সরাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘হোটেলের কর্মীরা জানতেন না, ওই মালপত্র তেজপ্রতাপের।’’

ওই ঘটনার পরেই সিগরা থানায় হোটেলকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিহারের মন্ত্রী তেজপ্রতাপের সহকারী মিশাল সিন্‌হাও। তিনি জানান, তেজপ্রতাপ এবং তাঁর নিরাপত্তায় মোতায়েন জওয়ানদের না জানিয়েই তাঁদের মালপত্র সরিয়ে দেন হোটেলের কর্মীরা। এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হোটেলের ম্যানেজারও তেজপ্রতাপের জিনিসপত্র সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। সিগরা থানার পুলিশ আধিকারিক রাজু সিংহ জানিয়েছেন, হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE