তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে কার্যত ‘নিখোঁজ’ আরজেডি তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। দু’একটা টুইট করেছেন বটে। কিন্তু তাঁর দেখা পাননি কেউই।
মা রাবড়ীদেবীর দেওয়া ইফতার পার্টিতে অথবা বাবা লালুপ্রসাদের জন্মদিনের দলীয় অনুষ্ঠানেও হাজির হননি তিনি। তার ফলে উঠছে প্রশ্ন, শুরু হয়েছে জল্পনা। দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না তিনি। দলের প্রবীণ নেতারা এই পরিস্থিতি লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তেজস্বীর আচমকা গায়েব হওয়ায় হতবাক অনেকেই।
গোটা লোকসভা নির্বাচনে কার্যত একাই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তেজস্বী। নির্বাচনে তাঁর দল একটি আসনও পায়নি। দলের ভরাডুবি নিয়ে গত ২৮ মে প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তেজস্বী। একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়ার পর থেকে আর দেখা করেননি কারও সঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতারা দেখা করতে এলেও তাঁর সাক্ষাৎ পাননি।
কেন নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন না তেজস্বী?
দলের একটি অংশের মতে, জেলাস্তরের নেতাদের উপরে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। তাঁদের দেওয়া তথ্যেই ডুবেছে দল। দলের ভোটব্যাঙ্ককে ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা।
তৈরি হয়নি রাজনৈতিক সমীকরণ। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় সংগঠন নতুন করে সাজাতে চাইছেন তেজস্বী। দিল্লিতে কংগ্রেস
নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বলে দাবি ওই নেতাদের। যদিও বিহার প্রদেশ কংগ্রেস আরজেডির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে। দলের নেতারা মহাজোটের বৈঠক থেকে নিজেদের আলাদা করেছেন।
পরিবারের মধ্যেও তেজস্বীর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। দলের অনেকেই বলছেন, পরিবারের ভিতরে তেজপ্রতাপকে কোণঠাসা করার বিষয়টি মোটেও
ভাল বার্তা দেয়নি। তেজপ্রতাপ পিছন থেকে গোটা বিষয়টিতে কলকাঠি নাড়ছেন। এ ছাড়া, প্রথম দিকে রাজ্যসভার সংসাদ দিদি মিসা ভারতীকে ফের লোকসভার টিকিট দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন তেজস্বী। যদিও পরে লালুপ্রসাদ মিসার প্রার্থীপদ চূড়ান্ত করেন। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল তেজস্বীর। যাবতীয় ক্ষোভ থেকেই অজ্ঞাতবাসে তেজস্বী যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy