ভাড়াগাড়ির সামনের আসনে চালকের পাশে পাঁচ জন যাত্রী ওঠানোয় প্রতিবাদ করেছিলেন এক কলেজ ছাত্র। অভিযোগ, তার জেরে ওই চালকের হাতে তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়। ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন করিমগঞ্জ কলেজের পড়ুয়ারা। উত্তেজিত ছাত্রদের বিক্ষোভে প্রথমে পুলিশও সেখান থেকে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশ জানায়, স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র বাহারুল ইসলাম একটি ভাড়াগাড়িতে কলেজে যাচ্ছিলেন। চালকের পাশে প্রথমে দু’জন যাত্রী থাকলেও, পরে আরও তিন জন যাত্রীকে সামনের আসনে তোলা হয়। বাহারুল প্রতিবাদ করলে তাঁকে চালক ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
কলেজে পৌঁছে সহপাঠীদের সব কথা জানান বাহারুল। কলেজের কিছু ছাত্র সঙ্গে সঙ্গে ভাড়াগাড়ির স্ট্যাণ্ডে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে দু’পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। এর পরই ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কলেজ পড়ুয়ারা। সিআরপি বাহিনী নিয়ে সেখানে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক বি সি নাথ। তাঁর আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।