লন্ডনে বেনামে সম্পত্তি কেনাবেচা এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের তদন্তে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরাকে শনিবার ফের জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ দিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি হাজির হন নয়াদিল্লির জামনগরের ইডি অফিসে। প্রথম বুধবার, তার পর বৃহস্পতিবার, আজও ফের জেরার মুখোমুখি হলেন রবার্ট। এই নিয়ে গত চারদিনে তিন দিনই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট।
বুধ এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে রবার্টকে ১৪ ঘণ্টারও বেশি জেরা করে ফেলেছেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রথম দিন টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় দিন সব মিলিয়ে ন’ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। লন্ডনে ১১০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি নিয়েই তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে অস্ত্রের দালাল সঞ্জয় ভান্ডারী এবং তাঁর দুই আত্মীয়ের যোগাযোগের সূত্র নিয়েও জেরা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
এনডিটিভি-র একটি খবরে প্রকাশ, বেআইনি আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত মনোজ অরোরা-র সঙ্গে রবার্টের যোগাযোগ নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে। অস্ত্রের দালাল সঞ্জয় ভান্ডারীর আত্মীয় সুমিত চাড্ডার সঙ্গে রবার্টের ই-মেল কথোপকথনের নথি তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে এনডিটিভি। সেখানে সুমিত চাড্ডা রবার্টের কাছে লন্ডনের বাড়ি মেরামতের জন্য টাকা দাবি করছেন এবং রবার্ট পুরো বিষয়টি মনোজকে জানাবেন, বলতে শোনা যাচ্ছে—এমনটাই দাবি এনডিটিভি-র। এই মনোজ অরোরার সঙ্গেই একটি সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক ভাবে যুক্ত ছিলেন রবার্ট, এমনটাই অভিযোগ ইডি-র।
আরও পড়ুন: রাফালে ‘মোদী-যোগ’ ফাঁস সরকারি নোটে
এর আগে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিনই ইডি অফিসে দেখা গিয়েছিল প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব না নিলেও ইতি মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে দলের হাল হকিকত জানতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তিনি। ২৪ আকবর রোডে দলের সদর দফতরে বসাও শুরু করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বে তিনি যতই সক্রিয় হয়ে উঠছেন, ততই তদন্তে গতি বাড়াচ্ছে ইডি। রবার্ট বঢরা-র তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ, চিদম্বরমকে জেরা ইডির
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)