—প্রতীকী ছবি।
আগামী বছর শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। আগামী এক বছর দেশ জুড়ে প্রচার চালানো, শাখার সংখ্যা বাড়ানো এবং মহিলাদের আরও বেশি করে সঙ্ঘের কাজে যুক্ত করার লক্ষ্যে আগামী ১৫-১৭ মার্চ নাগপুরে বৈঠকে বসছে সংগঠনের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। বৈঠকে প্রায় পনেরোশো জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। যোগ দেবেন বিভিন্ন শাখা সংগঠন ছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠনগুলিও।
সূত্রের মতে, ওই বৈঠকে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে দল। পাশাপাশি আগামী এক বছরের আরএসএসের আওতায় থাকা শাখার সংখ্যা এক লক্ষ করার লক্ষ্য নিতে চলেছে দল। সূত্রের মতে, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের কী ভাবে আরও বেশি শাখার কাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আলোচনায় জোর পাবে সন্দেশখালি। সেখানে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়েও আলোচনা হবে। মণিপুরে ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকা সংঘর্ষ নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রের মতে, আলোচনা হবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গেও। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উত্তর ভারতে কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের দাবিতে কেন্দ্র-বিরোধী ধর্নায় বসে আছেন। সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ চাষিদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার পক্ষে। এই আবহে প্রতিনিধি সভার বৈঠকে বিষয়টি ওঠার কথা রয়েছে। কারণ গেরুয়া শিবির বুঝতে পারছে, অবিলম্বে ওই আন্দোলন প্রত্যাহার না হলে তা উত্তর ভারতের কৃষক সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারকেও বিচলিত করতে পারে কৃষক আন্দোলন। এ ছাড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সামাজিক সংগঠন সঙ্ঘের রাজনৈতিক শাখা বিজেপি। সূত্রের মতে, সঙ্ঘের নির্দেশ ও পরামর্শ ছাড়া নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা চলেন না। আগামী বৈঠকের প্রভাব তাই দলের কর্মসূচি ও অগ্রাধিকার নির্ণয়ে নির্দেশক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy