সম্প্রতি বাংলাদেশের পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদফতরের ওয়েবসাইটের ম্যাপে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে ভারতের অংশ তুলে ধরায় বেজিং আপত্তি তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশও সদ্য মুখ খুলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জি২০ বিদেশমন্ত্রী সম্মেলন বসেছে জোহানেসবার্গে। তাতে যোগ দিতে গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ববৈঠক সেরেছেন জয়শঙ্কর। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে তাঁর। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি এই দুই বৈঠকে উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার মতো বিষয়ও।
আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৈঠক সম্পর্কে বলেন, “গত নভেম্বরে কাজ়ানের বৈঠকের পরে আজ দুই মন্ত্রীর (ভারত ও চিনের) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উন্নয়নের দিকগুলি পর্যালোচনা হয়েছে। বিশেষত সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা, মানস সরোবর যাত্রা, সরাসরি বিমান যোগাযোগ, পর্যটনের সুযোগ ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে।’’ এর আগে জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন, “জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে সিপিসি পলিটব্যুরোর সদস্য ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছে।” সদ্য আমেরিকা সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সেই সফরের পরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ও ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। পরে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আজ সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুশি হলাম। ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অব্যাহত অগ্রগতি পর্যালোচনা করলাম। ইউক্রেন সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে তাঁর রিয়াধে বৈঠকও রয়েছে।” প্রসঙ্গত ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত মঙ্গলবার রিয়াধে আমেরিকা ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান ধারাবাহিক ভাবে এক। আমরা চাই দু’পক্ষই বসে শান্তিসূত্র বার করুক। সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমেই এই সূত্র পাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই কালখণ্ড যুদ্ধের নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমাধান পাওয়া যায় না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)