পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য কূটনৈতিক দৌত্য শুরু হল সাউথ ব্লকের। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে এই প্রথম দেশের বাইরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য নেদারল্যান্ডসে পৌঁছে আজ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। পহেলগাম কাণ্ডের পরে সন্ত্রাস প্রশ্নে ভারতের পাশে দাঁড়ায় হেগ। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ধন্যবাদ স্কুফের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
পাশাপাশি সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্পের সঙ্গে বৈঠকে পহেলগাম সন্ত্রাসের কথা উঠে এসেছে। তাঁর এক্স হ্যান্ডল-এ জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আতিথ্য প্রদানের জন্য নেদারল্যান্ডসের বিদেশমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্পকে ধন্যবাদ। পহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নিয়ে আমাদের নীতিকে পূর্ণ
সমর্থন করার জন্য নেদারল্যান্ডসের প্রশংসা করছি। ইইউ-এর সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারি এবং সম্পৃক্ততা আরও গভীর করা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। বহু-মেরুত্বের যুগে বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে মতামত বিনিময় হয়েছে আমাদের।’’ দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। পরে বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতেও নেদারল্যান্ডসের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষ ভাবে। বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেদারল্যান্ডস যে ভাবে ভারতের প্রতি সংহতি দেখিয়েছে, তাতে নয়াদিল্লি খুবই আনন্দিত। সন্ত্রাস দমনে একজোট হওয়া ছাড়াও আলোচনা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, জল, কৃষি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে।
সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম মেধা, উষ্ণায়ন মোকাবিলার মতো ক্ষেত্রেও সহযোগিতার নতুন দিক খুঁজে বার করার ব্যাপারে একমত হয়েছে দু’দেশ। নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেমানসের সঙ্গেও একটি পৃথক বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কী কী সুযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখেছেন দুই নেতা।’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)