মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকপঞ্জির কাজ দ্রুত শেষ করতে বললেও ২-৩ মাস ধরে বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ করেছেন কয়েকটি জেলার এনআরসি কর্মীরা। নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের জন্য রাজ্যে মোট আড়াই হাজার এনআরসি সেবাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে কর্মীর সংখ্যা ৬ হাজার। বিভিন্ন নথি জোগাড়, তা কম্পিউটারে ঢোকানো, যাচাই করার ভার বেসরকারি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়েছে অসম সরকার। কিন্তু এনআরসির কাজে জড়িত কর্মীদের দাবি, বিভিন্ন জেলার এনআরসি কেন্দ্রগুলিতে বেতন বকেয়া। শুরু হয়েছে আন্দোলন। অনেক কেন্দ্রে বেতন না মেটানো পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীরা। প্রভাব পড়েছে ডিব্রুগড়, যোরহাট, গোলাঘাট, শিবসাগর, বঙাইগাঁও, চিরাং, গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়ে। বঙাইগাঁও জেলায় গত কাল থেকে এনআরসি কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। চিরাংয়ে ১৭ জানুয়ারি, কোকরাঝাড়ে ১২ জানুয়ারি, গোয়ালপাড়ায় ১৩ জানুয়ারি এনআরসি কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র কমিশনার প্রতীক হাজেলা জানান, এনআরসি প্রকল্পে টাকার অভাব নেই। টাকা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দিতে সামান্য দেরি হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
ইউডিএফ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্য সরকারকে দায়ী করে। তাদের দাবি, এনআরসি নবীকরণের জন্য কেন্দ্র ৯০৮ কোটি টাকা দেবে বলেছিল। কিন্তু দিয়েছে মাত্র ৩৩৫ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারও ইচ্ছাকৃত ভাবে টাকা দিতে দেরি করছে। নাগরিকপঞ্জির কাজে দেরি করানোই সরকারের ষড়যন্ত্র। ডি-ভোটার সমস্যাকে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের কাজ বিলম্বিত হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy