Advertisement
E-Paper

বিহারের তরুণীর সারা বছরের স্যানিটারি ন্যাপকিনের দায়িত্ব নিল সংস্থা

রক্ষণশীল সমাজের তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রী যে ভাবে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন, তার স্বীকৃতি দিতেই এই পদক্ষেপ ওই সংস্থার।

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আইএএস কর্তার কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন চাওয়ায় জবাব এসেছিল, "এর পর কি বিয়ে হলে কন্ডোম চাইবে?" বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল পড়ুয়া সেই ছাত্রীর সারা বছরের স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভার নিল এক ভারতীয় ন্যাপকিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। তারা জানিয়েছে, রক্ষণশীল সমাজের তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রী যে ভাবে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন, তার স্বীকৃতি দিতেই এই পদক্ষেপ। এমনকি, ছাত্রীটি স্নাতক হওয়া পর্যন্ত তাঁর পড়াশোনার যাবতীয় খরচও বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

ঋতুস্রাবের মত মহিলা স্বাস্থ্যের অতি জরুরি একটি ক্ষেত্র স্রেফ খোলামেলা আলোচনা না করার জন্য ভারতে অত্যন্ত অবহেলা ভরে দেখা হয়। যার মাসুল গুনতে হয় দেশের মহিলাদের। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামে অনেক ক্ষেত্রেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের সুবিধা না থাকায় বিভিন্ন সংক্রমণের শিকার হন মহিলারা। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুও হয় কখনও সখনও। বিহারের ওই ছাত্রী এই সমস্যার কথা জানিয়েই আইএএস কর্তাকে বলেছিল, "সরকারকে বলুন, ২০-৩০টাকায় আমাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে।" যার জবাবে জুটেছিল অপমান। পাটনায় একটি ওয়ার্কশপে যোগ দিতে এসেছিলেন ওই আইএএস কর্ত হারযৌত কওর। সেখানে ওই ছাত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাবে তাঁকে সর্বসমক্ষে ওই ছাত্রীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, "আজ এক প্যাকেট ন্যাপকিন চাইছ ফ্রিতে। কাল দেখব জিন্স, জুতো চাইছ। তার পর বিয়ে হলে পরিবার পরিকল্পনার জন্য কন্ডোম ও চেয়ে বসতে পারো।"

আই এ এস কর্তার সেই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। প্রবল নিন্দার মুখে পড়ে মন্তব্যটি।

Sanitary Napkin Bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy