বাবা-মা ভারতীয়। তাঁর অন্য পাঁচ ভাইও ভারতীয়। ভারতীয় স্বামী। তার পরেও কোন যুক্তিতে বরপেটার বাসিন্দা সোফিয়া খাতুন বিদেশি—অসম সরকারের কাছে সে ব্যাপারে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
বরপেটার সীমান্ত শাখার পুলিশ সোফিয়ার নামে ১৯৯৬ সালে ডি-ভোটারের নোটিস পাঠায়। মামলা ওঠে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে। সেখানেও সোফিয়াকে বিদেশি বলেই রায় দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ৫০ বছর বয়সি সোফিয়া গৌহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বাবা হাসান মুন্সির নামের বানান বিভিন্ন প্রমাণপত্রে বিভিন্ন হওয়ার জেরে সোফিয়াকে হাইকোর্টও বিদেশি বলে ঘোষণা করে দেয়। মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, শুধু সোফিয়ার বাবার নামের বানানই বিভিন্ন নয়, সোফিয়া নিজের জন্মের সঠিক স্থান ও তারিখের প্রমাণপত্রও জমা দিতে পারেননি। যা নাগরিকত্ব নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
কিন্তু সোফিয়ার পাঁচ ভাই ও স্বামী দাবি করেন, তাঁরা ভারতীয়। সোফিয়ার বাবা-মা ভারতীয় হিসেবে প্রমাণিত। তা হলে সোফিয়া কোন যুক্তিতে বিদেশি? সোফিয়া বলেন, ‘‘আমরা অশিক্ষিত। বাবা-মা, ঠাকুরদা-ঠাকুমারা ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। তাই বিভিন্ন প্রমাণপত্রে বানান ভুলের ফারাক ধরতে পারা বা শোধরানোর সুযোগ পাননি।’’ আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy