—ফাইল চিত্র।
দোষী সাব্যস্ত হয়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকরা। ফাঁসির সাজা হয়েছে তাদের। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দোষীদের সাজা দ্রুত কার্যকর করতে চেয়ে আবেদনটি জমা পড়েছিল। আদালতের তরফে সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে তার দোষী সাব্যস্তকে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ফাঁসি দিতে হবে বলে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব। সুষ্ঠুভাবে বিষয়টি যাতে মিটিয়ে নিতেকেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপও প্রার্থনা করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিচারপতি মদন বি লোকুর এবং দীপক গুপ্ত-র ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয়। আবেদনকারীকে তিরস্কারও করেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, ‘‘এ আবার কেমন আবেদন? আদালতকে নিয়ে তামাশা করছেন যে!’’
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করে ৬ দুষ্কৃতী। চরম শারীরিক নির্যাতন চালায়। তার পর চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় রাস্তায়। একটানা লড়াইয়ের পর ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ, রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত, বড় দায়িত্বে সিন্ধিয়া-পাইলট?
আরও পড়ুন: তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে? সোনিয়ার উত্তর, ‘রাহুলকে জিজ্ঞাসা করুন’
সেই ঘটনায় ছ’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রাম সিংহ নামের একজন তিহার জেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিন বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছে নাবালক একজন। আর বাকি চারজন, মুকেশ, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় কুমার সিংহ এই মুহূর্তে জেলবন্দী। তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। সাজা পুনর্বিচার করে দেখতে আবেদন জানিয়েছিল মুকেশ, পবন এবং বিনয়। এ বছর ৯ জুলাই তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy