আসন বণ্টন নিয়ে বিহারে আরজেডি,কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এ অবশেষে জট কাটতে চলেছে। সূত্রের খবর, এর পিছনে সনিয়া গান্ধী ও লালুপ্রসাদের ‘পুরনো রাজনৈতিক সখ্যে’-র প্রভাব রয়েছে। সনিয়া কংগ্রেসের বর্ধিতকার্যকরী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার পটনায় যাচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে তাঁর সঙ্গে লালুপ্রসাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। তার আগে কংগ্রেস, আরজেডি-র মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে জট কাটারসূত্র মিলেছে।
বিহারে বিরোধীদের মহাজোটে আরজেডি, কংগ্রেস ছাড়াও বাম দল, মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি, পশুপতি পরসের এলজেপি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রয়েছে। পাঁচ বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ২৪৩টি বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে ১৪০টি-তে লড়ে ৭৫টি আসনে জিতেছিল। আরজেডি একক বৃহত্তম দল হলেও মূলত কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য মহাজোটের সরকার হয়নি। কংগ্রেস ৭০টিআসনে লড়ে মাত্র ১৯টি আসনে জিতেছিল। এ বার রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রার সাফল্যে ভর করে কংগ্রেস ৭০টি এবং বেশিজেতার মতো আসন চাইছিল। কিন্তু কংগ্রেস ও আরজেডি-র শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে আপাতত ঠিক হয়েছে, কংগ্রেস ৫৮টি আসনে রাজি হতে পারে। আরজেডি ১৩০টি আসনে লড়বে। গত বারের ভাল ফলের কথা মাথায় রেখে ১৯টির বদলে ২৭টি আসনে লড়তে পারে সিপিআইএমএল। মুকেশ সাহনির পার্টি ১৪টি, সিপিএম ৪টি, সিপিআই ৬টি এবং জেএমএম ও পরসের দল দু’টি করে আসনে লড়তে পারে। খুব শীঘ্রই আসন বণ্টনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
কংগ্রেস আজ জানিয়েছে, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পটনায় কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিংকমিটির বৈঠক হতে চলেছে। কারণ, বিহারের নির্বাচন কংগ্রেস তথা বিরোধীদের সামনে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর সমান। বুধবার কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে প্রস্তাব পাশ হবে। গণতন্ত্রের বিপদ, ভোট চুরি,নিয়েও প্রস্তাব পাশ হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা হবে। রাহুল গান্ধীকে ভোটার অধিকার যাত্রার জন্যধন্যবাদ জানানো হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯১২ সালেপটনায় ও ১৯২২ সালে গয়ায় বিহারে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিরবৈঠক হয়েছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)