ত্রিপুরা বিধানসভার জয়কে মূলধন করে দেশ জুড়ে মোদী-হাওয়াকে ফের জোরালো করতে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। কর্নাটক-সহ বেশ কয়েক’টি রাজ্যে এই বছরে নির্বাচন। লোকসভা ভোটও কড়া নাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে অক্সিজেন পাওয়া বিজেপি বোঝাতে মরিয়া যে, জিএসটি বা নোটবাতিলের মতো বিষয়গুলিতে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়নি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভোটের ফলাফলকে মোদীর প্রতি দেশবাসীর আস্থার প্রতীক হিসেবেই তুলে ধরে বিজেপি প্রচারে নামবে।
এর মধ্যেই আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। পিএনবি তথা নীরব মোদী কেলেঙ্কারির বিষয়টিকে নিয়ে ঝাঁপানোর জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিরোধীরা। গতকালের ভোট ফলাফল কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরকে এবং তা উজ্জীবিত করেছে বিজেপি-কে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য, ভারতের মতো দেশে একটি রাজ্যের বিধানসভার ফল অন্য রাজ্যকে প্রভাবিত করে না। কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত কালই বলছেন, ‘‘যদি একটি রাজ্যের জেতা-হারা অন্য রাজ্যকে প্রভাবিত করত, তা হলে গুজরাতে খারাপ ফল করে তার পরই ত্রিপুরায় জিততে পারত না বিজেপি।’’ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজনৈতিক আদর্শের প্রশ্নে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের মূল শত্রু কমিউনিস্টরা। সেই হিসেবে ত্রিপুরার লাল দুর্গ ভাঙাকে দলীয় আদর্শের জয় হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। আজই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভোট ফলাফলের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে বিজয় উৎসব পালন করছে দল। অন্য দিকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ গিয়েছেন নাগপুরে, আরএসএস-এর সদর দফতরে।
বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, উত্তর-পূর্বে ভাল ফল হলেও গোটা দেশে যথেষ্ট বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি আসনই মোদী-অমিত শাহের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিপুরার লোকসভা আসন মাত্র দু’টি। এ বার ওই দু’টিও ঝুলিতে টানা গেলে তুল্যমূল্য বিচারে তা সম্পদ হয়ে দাঁড়াতে পারে ২০১৯-এর ভোটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy