‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ’ (মুডা)-এর জমি বেআইনি ভাবে বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় নাম জড়ায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার! মঙ্গলবার এমপি-এমএলএ আদালত জানাল, মাইসুরুর লোকায়ুক্ত পুলিশ এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে! শুধু তা-ই নয়, পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত রিপোর্টের দেখার পরই এই মামলায় রায় দেওয়া হবে বলে জানাল আদালত।
লোকায়ুক্ত পুলিশ আদালতে এই মামলায় ‘বি-রিপোর্ট’ জমা দিয়েছিল। সেই রিপোর্টে সিদ্দারামাইয়াকে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের এই রিপোর্টকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে ইডি। কেন সিদ্দারামাইয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
আদালত তার নির্দেশে স্পষ্ট করেছে, ‘বি-রিপোর্ট’-এর বিরুদ্ধে আপত্তি তোলার ক্ষমতা ইডির আছে। তবে লোকায়ুক্ত পুলিশের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই। তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকায় এখন এই মামলায় কোনও রায় দেবে না বলে জানিয়েছে আদালত। পূর্ণ রিপোর্ট জমা পড়ার পরই চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। আগামী ৭ মে পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলার সূত্রপাত। গত বছরের অগস্টে রাজ্যপাল থবরচন্দ গহলৌত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিচার শুরুর অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কর্নাটক হাই কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে পরে এমপি-এমএলএ আদালতে ফেরত পাঠায়। এর পর বেঙ্গালুরুর বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য মাইসুরুর লোকায়ুক্ত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে অধিগৃহীত জমির তুলনায় অনেক বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ও ভাল জমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাইসুরু নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পাইয়ে দিয়েছেন। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআরে নাম রয়েছে সিদ্দারামাইয়ার। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী পার্বতী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং জনৈক দেবরাজুর নাম। দেবরাজুর থেকে জমি কিনে মল্লিকার্জুন উপহার দিয়েছিলেন পার্বতীকে। মাইসুরুর কাসারে গ্রামে মোট ৩.১৬ একর জমির ক্ষতিপূরণে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। সিদ্দারামাইয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আইন মেনেই সব হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি।