কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলমার্গে সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানেরাও। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্তও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে। অতর্কিত হানায় অন্তত চার জন জওয়ান জখম হয়েছেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস্ সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, হামলায় সেনার দু’জন জওয়ান এবং দু’জন মালবাহক জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই কাশ্মীরের সোনমার্গের কাছে জঙ্গি হামলায় সাত জন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন ছ’জন শ্রমিক এবং এক জন চিকিৎসক। ওই হামলার পর বুধবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। উপত্যকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গের কাছে ভারতীয় সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
সম্প্রতি কাশ্মীর উপত্যকায় যে ভাবে একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছে, তাতে উদ্বিগ্ন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার সকালেও পুলওয়ামায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। হামলায় জখম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই শ্রমিক। তার আগে রবিবার গান্ডেরবাল জেলার সোনমার্গে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের। রবিবারের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে এক জঙ্গিগোষ্ঠী। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা থেকে এই সংগঠনের জন্ম। কাশ্মীর উপত্যকায় এর আগেও একাধিক নাশকতামূলক কাজে নাম জড়িয়েছিল টিআরএফের।
আরও পড়ুন:
এই আবহেই বুধবার দিল্লিতে শাহের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর। এক দিকে যখন বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি উঠছে, তখন কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলমার্গে সেনার গাড়িতে হামলার নেপথ্যে কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় জখমের সংখ্যা পাঁচ লেখা হয়েছিল। সেটি ভুল। জখমের সংখ্যা চার। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)