Advertisement
E-Paper

চাকরির টোপ দিয়ে জোর করে রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে! এখনও খোঁজ নেই উত্তরপ্রদেশের আট জনের

কাউকে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরির কথা বলা হয়েছিল। আবার কেউকে বলা হয় পরিচারক কিংবার রাঁধুনির কাজ। এই বলে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০৩
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে রাশিয়ান বাহিনী।

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে রাশিয়ান বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।

চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ায়। তার পরে বাধ্য করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লড়াইয়ে নামতে। উত্তরপ্রদেশের দু’টি জেলা থেকে ১৩ জনকে এ ভাবে চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাউকে বলা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি, আবার কাউকে বলা পরিচারক কিংবা রাঁধুনির চাকরি। মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ওই ১৩ জন উত্তরপ্রদেশের আজ়মগড় এবং মাউ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। দু’জন জখম হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু বাকি আট জনের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। বিনোদ যাদব, যোগেন্দ্র যাদব, অরবিন্দ যাদব, রাম চন্দ্র, আজ়হারউদ্দিন খান, হুমেশ্বর প্রসাদ, দীপক এবং ধীরেন্দ্র কুমার— এই আট জনের পরিবার এখনও উত্তরপ্রদেশে অপেক্ষা করছেন, কোনও খবর পাওয়ার আশায়। যোগেন্দ্রের ছোট ভাই আশিস যাদবের অভিযোগ, তাঁর দাদাকে নিরাপত্তারক্ষীর কাজের কথা বলে রাশিয়ায় নিয়ো যাওয়া হয়। কিন্তু পরে তাঁকে রাশিয়ার সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ১৫ জানুয়ারি যোগেন্দ্র বাড়ি ছেড়েছিলেন। পরিবারের দাবি, তিন জন ‘এজেন্ট’ তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত বছরের মে মাসে যোগেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। সেটাই শেষ কথা। তখন যোগেন্দ্র তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তিনি যুদ্ধে জখম হয়েছেন। এর পর থেকে যোগেন্দ্র কোথায় রয়েছেন, কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন, কিছুই জানে না তাঁর পরিবার। দাদাকে যাতে খুঁজে বার করার জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপেরও আর্জি জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আজ়মগড় জেলার বাসিন্দা আশিস।

আজ়হারউদ্দিনের বাড়িও আজ়মগড় জেলাতেই। বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। আজ়হারের মা নাসরিন কাঁদতে কাঁদতে জানান, গত ১০ মাসে ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ হয়নি। মোটা টাকার বেতনের টোপ দিয়ে এক ‘এজেন্ট’ আজ়হারকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর মায়ের। গত বছরের জানুয়ারিতেও তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। দুই পরিবারের মুখেই উঠে এসেছে বিনোদ নামে এক ‘এজেন্ট’-এর নাম।

বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবারই এ বিষয়ে মন্তব্য করেছে। মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, রুশ বাহিনীর হয়ে কাজ করতে গিয়ে ১২ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১৬ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল বলেন, “এখনও পর্যন্ত ১২৬ জন ভারতীয়ের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করার খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন ইতিমধ্যে ফিরে এসেছেন। তাঁদের রুশ বাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

Russia Ukraine Conflict Russia Ukraine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy