জমায়েত: নিহত জঙ্গি তনবির আহমেদের শেষকৃত্যে ভিড় জমিয়েছেন কাশ্মীরিরা। মঙ্গলবার শোপিয়ানের বাটমুরানে। এএফপি
দক্ষিণ কাশ্মীরে শোপিয়ান জেলার বাটমুরান গ্রামে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। গুলি বিনিময়ের মধ্যে পড়ে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা এক তরুণীরও।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে শোপিয়ানের বাটমুরানে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। তল্লাশির সময়ে জওয়ানদের লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ফলে লড়াই শুরু হয়। ওই জঙ্গিদের মধ্যে স্থানীয় যুবক তনবির আহমেদ রয়েছে বলে আগেই জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। তনবিরের পরিবারের অনুরোধে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে বাহিনী। কিন্তু তনবির সেই আবেদনে পাত্তা দেয়নি।
রাত ভর লড়াইয়ের পরে খতম হয় দুই জঙ্গি। আহত হন এক সেনা ও এক পুলিশকর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে তনবির বাটামুরানেরই বাসিন্দা। অন্য জনের নাম আলি ওরফে কারি। সে পাকিস্তানি। দু’জনেই জইশ ই মহম্মদের সদস্য। ১১ ডিসেম্বর শোপিয়ানে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্কের গাড়ির উপরে হামলা হয়। তাতে নিহত হন দুই রক্ষী। তনবির ও আলি সেই ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। তৃতীয় এক জঙ্গি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের মধ্যে পড়ে আহত হন স্থানীয় বাসিন্দা মনজুর আহমেদ মিরের স্ত্রী রুবি জান। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের সময়ে বাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছোড়ে স্থানীয়দের একাংশ। বাহিনীর ছররা গুলিতে আট জন আহত হয়েছে।
আজ লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির জানান, চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২০৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। গত চার বছরের মধ্যে এ বারই নিহত জঙ্গির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি ওই রাজ্যে জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৩৭ জন স্থানীয় বাসিন্দার। ৪ বছরের মধ্যে কখনও এত স্থানীয় নিহত হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy