কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে অসন্তুষ্ট কংগ্রেসের হাইকমান্ড। সমস্যা মেটাতে এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল তারা। ফোন গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারের কাছে। উভয়কেই ফোন করে একই নির্দেশ। দেখা করে সমস্যা মেটাতে বললেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
হাইকমান্ডের ফোন পাওয়ার পরেই তাঁর ডেপুটি শিবকুমারকে শনিবার প্রাতরাশের আমন্ত্রণ জানালেন সিদ্দারামাইয়া। তাঁর কথায়, ‘‘হাইকমান্ড আমাকে এবং শিবকুমারকে ফোন করেছিল। তারা আমাদের দেখা করে আলোচনা করতে বলেছে। তাই আমি শিবকুমারকে প্রাতরাশে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি এলে আমরা সব কিছু নিয়ে আলোচনা করব।’’
কর্নাটকে কংগ্রেসে ডামাডোল শুরু হতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তিনি জানান, হাইকমান্ড যা নির্দেশ দেবে, তা পালন করবেন। সেই কথা আবার মনে করিয়ে দিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এখনও একই কথা বলছি। পরে একই কথাই বলব।’’ তাঁর সংযোজন, হাইকমান্ড যদি ডাকে তবে তিনি দিল্লি যেতেও প্রস্তুত।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক দিন ধরেই কর্নাটক কংগ্রেসের অন্দরে দড়ি টানাটানি চলছে। কর্নাটকের অধুনা উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই। দিল্লিতে কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার পর সেই জল্পনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওই বিধায়কদের দাবি, ২০২৩ সালে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে শিবকুমারকে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই নেতার মধ্যে। সেই ‘প্রতিশ্রুতির সম্মান’ রাখার দাবি তুলেছেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠেরা। ঘটনাচক্রে, অক্টোবরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সে ভাবে দেখলে এ বার শিবকুমারের পালা।