Advertisement
E-Paper

ডোকা লা: পাশে সব দেশ, দাবি সুষমার

এই টানাপড়েনের মধ্যেই চিন এ দিনও জানিয়েছে, ডোকা লা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে ভারত সেনা না সরালে আলোচনা সম্ভব নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০৪:১২
সুষমা স্বরাজ। ফাইল চিত্র।

সুষমা স্বরাজ। ফাইল চিত্র।

ডোকা লা-য় চিনই স্থিতাবস্থা ভাঙতে চাইছে বলে এ দিন সংসদে দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ডোকা লা বিতর্কে প্রায় ভারতের পাশে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

চিন, ভারত ও ভুটান সীমান্তের সংযোগস্থল ডোকা লা-য় গত প্রায় এক মাস ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় ও চিনা সেনা। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সুষমা জানান, ২০১২-র চুক্তি অনুযায়ী, ওই তিন দেশের সীমান্তের সংযোগস্থল নিয়ে সমস্যা ত্রিদেশীয় আলোচনার মাধ্যমেই মেটাতে হবে। কিন্তু চিন একতরফা ভাবে ওখানকার স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই সেখানে সেনা পাঠিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘তিন দেশের সীমান্ত যেখানে মিলেছে, সেখানে স্থিতাবস্থা নষ্টের চেষ্টা হলে ভারতের নিরাপত্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’’ তিনি জানান, ডোকা লা নিয়ে ভারতের অবস্থান যে যুক্তিসঙ্গত, তা বুঝে প্রায় সব দেশই দিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে।

এই টানাপড়েনের মধ্যেই চিন এ দিনও জানিয়েছে, ডোকা লা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে ভারত সেনা না সরালে আলোচনা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গেই চিন নিয়ে ভারতের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে সে দেশের সরকারি ট্যাবলয়েড ‘গ্লোবাল টাইমস’ জানিয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্তের জন্যই সমস্যা বাড়ছে। মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে পত্রিকাটির বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয়তাবাদের ঢেউয়ে দিল্লির চিন-নীতি ভেসে গিয়েছে। এটা সামাল না দেওয়া গেলে পরিস্থিতি যে আরও সঙ্গীন হয়ে উঠবে, সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে পত্রিকাটির বক্তব্য, ভারতের উচিত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ যাতে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়, তা নিশ্চিত করা।

এ দিন দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল ওয়াগলে জানান, ব্রিকস গোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিতে চিনে যাবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তবে ওই বৈঠকে ডোকা লা নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বৈঠকে চিনের তরফে থাকবেন সে দেশের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি। সাধারণত সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক মেকানিজমে দু’দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ডোভাল ও জিয়েচি-ই। ফলে ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে ডোকা লা নিয়ে বৈঠক চাইতে পারে ভারত।

চিনা বিপদ নিয়ে এর আগে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে গোপাল ওয়াগলে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে কাশ্মীরের সমস্যা হলো পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস। সেটা আমরা সকলেই জানি।’’

Sushma Swaraj India China India-China Sikkim Standoff সুষমা স্বরাজ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy