বিচারাধীন এক বন্দির চিকিৎসা করে আদালতের কোপে পড়লেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের তিন চিকিৎসক। আজ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইলাকান্দির সিজেএম আদালতের বিচারক। হাইলাকান্দি শিক্ষা বিভাগের করণিক বদরুল ইসলাম লস্করকে প্রাদেশিকৃত বিদ্যালয়ের জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে ৯ জুন গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে পেশ করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাইলাকান্দির পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বদরুলকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। মেডিক্যাল কলেজের সুপার মৃণালকান্তি দে’র নেতৃত্বে চিকিৎসক সামসুদ্দিন ও আহমেদ হুসেনের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। খবর পেয়ে হাইলাকান্দির সিজেএম জয়দেব কোচ তিন চিকিৎসককে আদালতে তলব করেন।
এ দিন চিকিৎসকরা আদালতে হাজির হন। বিচারক তাঁদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে বিচারাধীন বন্দির চিকিৎসা করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এ ভাবে চিকিৎসা করা আইনবিরুদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য। তিন চিকিৎসকের বক্তব্য শোনার পর তাঁদের সতর্ক করেন বিচারক। এ নিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী বর্মন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
৪ জুলাই হাইলাকান্দির যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক শিবানন্দ হাগজেকেও একই কারণে আদালতে তলব করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy