গত সপ্তাহে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি নিজেই। বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর। মঙ্গলবার বিকেলে পটনায় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তিনি পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন।
মৈথিলী বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছিল। সঙ্গীতশিল্পী বিজেপিতে যোগ দিলেন। শুধু তা-ই নয়, সূত্রের খবর, তিনি এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারেন। তাঁকে যদি প্রার্থী করা হয় তা হলে দ্বারভাঙার আলিনগর আসনের টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মৈথিলী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে। তিনিই মৈথিলীর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। তার পর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয় মৈথিলী পদ্মিশিবিরে যোগ দিতে পারেন। সেই সময় মৈথিলীও এন়ডি়টিভি-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বিহারের মানুষের সেবা করতে চাই। লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে বিহারের মানুষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। তাই বিদেশেও যেতে চাইনি। এই সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে যেতে চাই।’’
মৈথিলী আরও বলেন, ‘‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিতে চাই না, রাজনীতিও করতে চাই না। আমার অঞ্চলের মানুষের সেবা করতে চাই। তবে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যদি রাজনীতি সহযোগিতা করে, তা হলে সেটি আমার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে।’’ সেই সময়েই তিনি ঠারেঠোরে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন যে, সুযোগ পেলে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন। আর তার পরই পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা জোরালো হচ্ছিল।
বিহারের মিথিলা অঞ্চলের বাসিন্দা মৈথিলী। মধুবনী এবং দ্বারভাঙা— এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে মিথিলা। মধুবনীর বেনিপট্টিতে তাঁর বাড়ি। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন মৈথিলীকে বিহারের ‘স্টেট আইকন’ হিসাবেও নিযুক্ত করেছিল। মৈথিলীরা তিন ভাই-বোন। ভোজপুরি, হিন্দি-সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করেছেন মৈথিলী। ২০২৪ সালে মা শবরীকে নিয়ে মৈথিলীর গান প্রধানমন্ত্রীকে মুগ্ধ করেছিল। মৈথিলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে মৈথিলীর সেই গানটিরও উল্লেখ করেছিলেন মোদী।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। দু’দফায় ভোট হবে ৬ এবং ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।