Advertisement
E-Paper

বাইক কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী ছেলে, শেষকৃত্যের আগে গায়ে আগুন দিলেন মা!

মায়ের কাছে ছেলে আবদার করেছিল একটা বাইক কিনে দিতে হবে। কিন্তু ইন্দ্রাণী দিতে চাননি। শুধু বলেছিলেন, “টানাটানির সংসার, বাইক কিনে দেওয়ার সামর্থ আমার নেই।”

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মা বাইক কিনে দেয়নি। রাগ করে তাই আত্মহত্যা করল ছেলে। এই পরিণতি সহ্য করতে না পেরে ছেলের শেষকৃত্যের আগেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা-ও। মঙ্গলবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের কিঝকোত্তাইয়ুর গ্রামে।

গোবিন্দরাজন। বয়স ১৬। বাইকের স্বপ্ন দেখত সে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই মা ইন্দ্রাণীর কাছে আবদার করেছিল ছেলেটি। পরিচারিকার কাজ করেন ইন্দ্রাণী। স্বামী বছরখানেক আগেই মারা গিয়েছেন। দুই ছেলে। দু’জনেই পড়াশোনা করে। বড় ছেলে গোবিন্দরাজন।

মায়ের কাছে ছেলে আবদার করেছিল একটা বাইক কিনে দিতে হবে। কিন্তু ইন্দ্রাণী দিতে চাননি। শুধু বলেছিলেন, “টানাটানির সংসার, বাইক কিনে দেওয়ার সামর্থ আমার নেই।” কিন্তু ছেলে নাছোড়। কিনে যে তাকে দিতেই হবে! গোবিন্দরাজন উপায়ও বাতলে দিয়েছিল মাকে। তাঁকে বলেছিল, “তোমার যে সেভিংস-এর টাকাটা রয়েছে সেটা দিয়ে কিনে দাও।”

আরও পড়ুন: অত্যাচারের নালিশ জানিয়ে থানা থেকে বেরোতেই স্ত্রীকে ছুরির কোপ

বাইকের দাম দেড় লক্ষ টাকা। কিন্তু এত টাকা পাবেন কোথায়? ইন্দ্রাণী তাই ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু গোবিন্দরাজন গোঁ ধরে বসে থাকে। খাওয়া বন্ধ করে দেয়। মায়ের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছিল।

প্রতিবেশীরা জানান, ইন্দ্রাণী তাঁদের কাছে প্রায়ই বলতেন ছেলেটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু কিছুতেই বুঝতে চাইছে না। ভেবেছিলেন দু’দিনেই ছেলের রাগ পড়ে যাবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ছেলে যে মনে মনে গুমরাচ্ছিল সেটা আঁচ করতে পারেননি ইন্দ্রাণী।

আরও পড়ুন: মোবাইল নম্বর বন্ধ হবে না, বিবৃতি জারি করে জানাল কেন্দ্র

রবিবার বাড়ির কাছেই কাজে গিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। কাজ থেকে ফিরে দেখেন ছেলে ঘর বন্ধ করে বসে আছে। বার বার ডাকা সত্ত্বেও সাড়া পাননি। ঘরের এক ফাঁক দিয়ে ভিতরে উঁকি মারতেই তাঁর মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ে। দেখতে পান, ছেলে ঘরের সিলিং থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে!চিত্কার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন ইন্দ্রাণী। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। দরজা ভেঙে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবারই গোবিন্দরাজনের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। প্রতিবেশীরাগোবিন্দরাজনের দেহ দাহ করতে নিয়ে গেলে ইন্দ্রাণী ঘরে ঢুকে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মা-ছেলের মৃত্যুতে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Suicide কাঞ্চিপুরম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy