জুনেইদ খান
বাড়ি থেকে সে পালিয়েছিল গত শুক্রবার! রবিরার ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিতে দেখা গেল এমবিএ ডিগ্রিধারি শ্রীনগরের সেই ছেলেরই হাতে লেটেস্ট মডেলের রাইফেল। নাম জুনেইদ আহমেদ সেহরাই। সে কাশ্মীরের তেহরিক-ই হুরিয়তের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেহরাইয়ের ছেলে। ছবির নীচে বার্তায় জুনেইদের বক্তব্য, সে হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই মেহেবুবা মুফতি প্রশাসনের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার অবস্থা। জম্মু কাশ্মীরের অল্পবয়সীরা যাতে কোনও ভাবে জঙ্গিদের খপ্পড়ে না পড়ে, সেই দিকে তাকিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালেও ১২৬ জন কাশ্মীরি যুবক জঙ্গি শিবিরে নাম লিখিয়েছে। সেই ধারা যে চলতি বছরেও বন্ধ হয়নি, জুনেইদ যেন তারই প্রমাণ।
গত সপ্তাহেই সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জায়গায় তেহেরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন জুনেইদের বাবা মহম্মদ আশরাফ সেহরাই। গিলানির তুলনায তিনি ঢের বেশি কট্টর বলে পরিচিত। ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যে তাঁর আদর্শ, সেই কথা আশরফ প্রচার করতেন ঢাক-ঢোল পিটিয়েই। অনেকেরই ধারণা, বাবার কট্টর মতাদর্শ হয়ত প্রভাব ফেলেছিল ছেলের জীবনেও। বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে পরিচিত হুরিয়ত নেতাদের সম্পর্কে বলা হয়, বাড়ির ছেলে মেযেদের তাঁরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন ঠিকই। কিন্তু অন্যদের বন্দুক ধরার জন্য উস্কানি দেন। আশরাফ সেহরাই হুরিয়তের প্রথম নেতা, যাঁর ছেলে যোগ দিল জঙ্গি শিবিরে। জুনেইদের যে ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়ে সে নাম বদলে ফেলেছে। তার নতুন নাম আমর ভাই।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেত্রী কথা বলবেন সনিয়ার সঙ্গে
আরও পড়ুন: বরফ গলাতে শুরু ভারত-পাক কথা
সেহরাই পরিবারের তরফ থেকে পুলিশে জানানো হয়েছিল, গত শুক্রবার প্রার্থনার জন্য জুনেইদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ। বছর ছাব্বিশের জুনেইদ ছাত্র হিসেবে যথেষ্টই মেধাবী। পুলিশের তরফ থেকে সেহরাই পরিবারকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ছেলেকে জঙ্গি শিবির থেকে ফেরানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিন। হয়ত কাজ হতে পারে এতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy