Advertisement
১১ মে ২০২৪

নাটক করছেন সুষমা: সনিয়া

বিরোধীশূন্য ফাঁকা সংসদে ললিত মোদী প্রসঙ্গে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার এক দিন পরে সেই আবেগের উত্তর আরও বেশি আক্রমণ দিয়েই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস।

গাঁধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

গাঁধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ১২:৫০
Share: Save:

বিরোধীশূন্য ফাঁকা সংসদে ললিত মোদী প্রসঙ্গে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার এক দিন পরে সেই আবেগের উত্তর আরও বেশি আক্রমণ দিয়েই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। বিদেশমন্ত্রীকে ‘নাটুকে’ বলা থেকে শুরু করে সুষমার বিরুদ্ধে ললিত মোদীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সরাসরি অভিযোগও করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

দলীয় সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে শুক্রবার চতুর্থ দিনে পড়ল কংগ্রেসের বিক্ষোভ। প্রথম তিন দিনের মতো এ দিনও আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন সনিয়া-রাহুল। তবে এ দিন বিক্ষোভের সুর যেন ছিল একটু বেশিই কড়া। আকারে এবং সংখ্যায় পোস্টার, ব্যানার হার মানাচ্ছিল গত তিন দিনের বিক্ষোভকে। গতকাল সংসদে সুষমা দাবি করেন, সম্পূর্ণ নিরপরাধ ক্যান্সার আক্রান্ত এক মহিলাকে (ললিত মোদীর স্ত্রী) মানবিক কারণে সাহায্য করেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর জায়গায় কংগ্রেস সভানেত্রী থাকলে কী করতেন? এ দিন সেই প্রশ্নের উত্তরই দিলেন রাহুল। কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দাবি, সুষমার জায়গায় সনিয়া গাঁধী থাকলে কখনওই তেমন কোনও কাজ করতেন না। উল্টে তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন আইপিএল কর্তার কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছে সুষমার পরিবার। সুষমাকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, “গতকাল সংসদে বিদেশমন্ত্রী খুব ভাল ভাষণ দিয়েছেন। উনি জানতে চেয়েছেন তাঁর জায়গায় সনিয়া গাঁধী থাকলে কী করতেন? তাঁর ছেলে হিসাবে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, সনিয়া গাঁধী এমন কাজ করতেন না। আর একটা কথা। যখনই কোনও চুরি হয়, চোর চুপচাপ কাজ করে। আর সব চুরিতেই অর্থের লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রেও ললিত মোদীকে সাহায্য করেছে সুষমার স্বামী এবং কন্যা। অবশ্যই তাঁরা টাকা পেয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী কি জানাবেন তাঁরা কত টাকা পেয়েছে?”

রাহুলের মতো বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন সনিয়াও। বলেন, “সুষমা স্বরাজ খুব ভাল নাটক করতে পারেন। অভিনয় করতে উনি সিদ্ধহস্ত।”

কংগ্রেসের সঙ্গে এ দিন আন্দোলনে সামিল হয় বাম দলগুলিও। শিবরাজ-সুষমা-বসুন্ধরার ইস্তফার পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদও করেন তাঁরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “শিবরাজ সিংহ-সহ অভিযুক্তদের উচিত, নির্দোষ প্রমাণীত না হওয়া পর্যন্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ানো।”

কংগ্রেসের এই আন্দোলনকে যথারীতি কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের অন্যতম শীর্ষনেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, “দেশের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেস। ব্ল্যাকমেলের রাজনীতির করছে তারা। মানুষই এর জবাব দেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE