Advertisement
E-Paper

রাষ্ট্রপতির পদে নিরপেক্ষ মুখ খুঁজছেন সনিয়া

বিজেপি-র মোকাবিলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিনিধি হিসাবে সর্বজনগ্রাহ্য কোনও মুখের সন্ধানে তৎপর হলেন সনিয়া গাঁধী।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫০
সনিয়া গাঁধী

সনিয়া গাঁধী

বিজেপি-র মোকাবিলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিনিধি হিসাবে সর্বজনগ্রাহ্য কোনও মুখের সন্ধানে তৎপর হলেন সনিয়া গাঁধী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পাশাপাশি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে ডেকে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবকেও। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কৌশল আলোচনা করতে একে একে বিজেপি-বিরোধী অন্য দলগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।

অমিত শাহদের বিরুদ্ধে আ়ঞ্চলিক জোট গড়ার বাসনায় বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভুবনেশ্বরে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে গিয়েছেন, সেই সময়ে দিল্লিতে সনিয়া আলাদা করে বৈঠক সেরেছেন নীতীশ ও ইয়েচুরির সঙ্গে। কলকাতায় শুক্রবার দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকেও তৃণমূল নেত্রী শুধু আঞ্চলিক শক্তির কথাই বলেছেন, কংগ্রেসের নাম করেননি। তবে শিলিগুড়িতে গিয়ে ইয়েচুরি এ দিন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজতে বিরোধীদের বৃত্তে তৃণমূলও থাকতে পারে। রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে ভোট দিয়েছিল সিপিএম ও তৃণমূল। ইয়েচুরির যুক্তি, এখনও এই প্রশ্নে একটি দলের সঙ্গে অন্য দলের আলোচনা হতেই পারে।

আরও পড়ুন: উপত্যকায় অশান্তির আড়ালে খেলছে চিন

কংগ্রেস ও সিপিএম সূত্রের খবর, সনিয়ার দরবারে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। কংগ্রেস তাদের দল থেকে কাউকে প্রার্থী করলে অন্য কেউ আবার আপত্তি তুলতে পারে। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের মোকাবিলায় সনিয়া তাই চাইছেন এমন কাউকে, যাঁকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের প্রতিনিধি হিসাবে মানতে কোনও সমস্যা নেই। শিলিগুড়িতে এ দিন বামফ্রন্টের সমাবেশের পরে প্রশ্নের জবাবে ইয়েচুরিও বলেছেন, ‘‘আমরা চাই এমন এক জন মানুষ রাষ্ট্রপতি হোন, যিনি ধর্মনিরপেক্ষতার সপক্ষে দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছেন।’’

উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে এখন সামান্যই ঘাটতি আছে এনডিএ শিবিরের। আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দু-একটা পক্ষকে নিজেদের দিকে টানতে পারলেই মোদী-শাহদের কাজ হাসিল হয়ে যাবে। সেই জন্যই সনিয়া চাইছেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে এমন কোনও নাম, যাঁকে ঘিরে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরকে এক জায়গায় রাখা সম্ভব হবে। ইয়েচুরির কথায়, ‘‘সংবিধান, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’

তৃণমূলের সঙ্গেও কি কথা হতে পারে? ইয়েচুরির জবাব, ‘‘এটা দেশের বিষয়। তাই একটা দলের সঙ্গে অন্য দলের কথা হতেই পারে।’’ কংগ্রেস সূত্রে খবর, আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সনিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের বলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে তিনি এগিয়ে এসেছেন। তার মানে রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে না।

President Sonia Gandhi Sitaram Yechury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy