প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের মৃত্যুতে শোক জানাতে রবিবার শ্রীনগরে যান সনিয়া গাঁধী। বিমানবন্দর পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
শপথ পিছিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এ বার কাশ্মীরে শাসক জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন মেহবুবা মুফতি।
মুফতি মহম্মদ সইদের পরে তাঁর মেয়ে মেহবুবাই যে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসবেন তা নিয়ে কার্যত নিশ্চিতই ছিলেন রাজনীতিকেরা। মেহবুবার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল জোটশরিক বিজেপিও। কিন্তু আজ জোটশরিকের রক্তচাপ বাড়িয়ে কিছু কড়া শর্ত দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী।
পিডিপি সূত্রে খবর, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নির্মল সিংহের ডানা ছাঁটতে চান মেহবুবা। পাশাপাশি আরও কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছেন তিনি। ফলে, পাল্টা শর্ত দিয়েছে বিজেপিও।
তাদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় পরে মুখ্যমন্ত্রী বদলের শর্ত দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে শ্রীনগরে সরকার চালানোর সময়ে এই শর্তে রাজি হয়েছিল পিডিপি। তখন মুফতি মহম্মদ সইদের পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। কিন্তু মেহবুবা এখন বিজেপির সঙ্গে এই সমঝোতায় যেতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন পিডিপি নেতারা।
এর মধ্যেই আজ শ্রীনগরে গিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। বিমানবন্দর থেকে সোজা মেহবুবার বা়ড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। প্রকাশ্যে দু’দলই জানাচ্ছে, মুফতি মহম্মদের মৃত্যুতে শোক জানাতেই গিয়েছেন সনিয়া। কিন্তু পুরো বিষয়টিতে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই।
সনিয়ার পরে মেহবুবার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা নিতিন গডকড়ীও। বিজেপি সূত্রে খবর, মেহবুবা যে দর কষাকষি করছেন তা স্পষ্টই বুঝতে পারছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সনিয়ার উপস্থিতি বিজেপির রক্তচাপ বাড়িয়েছে। তাই পরিস্থিতি বুঝতে গডকড়ীকে শ্রীনগর পাঠানো হয়েছে।
পিডিপি সূত্রের খবর, ,সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তেই হয়তো জোট ভাঙার কথা ভাববেন না মেহবুবা। কিন্তু আজ কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দিয়ে বিজেপিকে বেশ খানিকটা চাপেই রাখলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy