Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গ্রাম দত্তক নিলেন সনিয়া-রাহুল

প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কেউ শুনুন বা না শুনুন, কংগ্রেস সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অন্তত শুনলেন! নরেন্দ্র মোদীর ‘কথামতো’ সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর পুত্র রাহুল, দু’জনেই নিজেদের নির্বাচনী এলাকা থেকে দু’টি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫১
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কেউ শুনুন বা না শুনুন, কংগ্রেস সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অন্তত শুনলেন! নরেন্দ্র মোদীর ‘কথামতো’ সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর পুত্র রাহুল, দু’জনেই নিজেদের নির্বাচনী এলাকা থেকে দু’টি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন।

নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের একটি গ্রামকে বেছে নিয়ে সেটিকে ‘আদর্শ’ হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে সাংসদদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেই আবেদনে অন্য সাংসদ তো দূর, তাঁর নিজের দলের সাংসদদেরও সে ভাবে সাড়া দিতে দেখা যায়নি। যা নিয়ে সপ্তাহখানেক আগেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সাংসদদের সক্রিয় করে তুলতে আসরে নামতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।

আজ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সনিয়া তাঁর নির্বাচনী এলাকা রায়বরেলীর জগৎপুর ব্লকের উড়বা গ্রামটি বেছে নিয়েছেন। আর রাহুল বেছেছেন অমেঠির জগদীশপুর ব্লকের দীহ্ গ্রামটি। রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই গ্রামটিতে যথেষ্ট শিল্প গড়ে উঠেছিল। সনিয়ার দত্তক নেওয়া গ্রামটিও ঐতিহাসিক ভাবে সমৃদ্ধ।

তবে সনিয়া-রাহুলের এই কাজকে বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখছেন না কেউই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মত, এতে আসলে মোদীরই জয় হল। সনিয়া বা রাহুল কিছুটা বাধ্য হয়েই গ্রাম দু’টির দায়িত্ব নিয়েছেন। অথচ দু’জনেই দীর্ঘ সময় ধরে সাংসদ পদে রয়েছেন। এত দিন তাঁদের এ ভাবে কোনও গ্রাম নিয়ে ভাবতে তো দেখা যায়নি। হঠাৎ মোদীর ঘোষণার পরেই তাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠলেন কেন? কংগ্রেসের তরফে শাকিল আহমেদ বলেছেন, “কোনও ভাল দৃষ্টান্ত অনুসরণে তো আপত্তির কিছু নেই। তা ছাড়া আমরা তো বলেইছি গঠনমূলক বিরোধিতা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE