লিবার্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)-র নেত্রী সানায়ে তাকাইচি-র জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার ঘটনাকে সুসংবাদ বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিনের কাছে বিষয়টি দুঃসংবাদ বিশেষ।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে দলীয় নেত্রী হিসেবে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন তাকাইচি। সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারতকে গণতান্ত্রিক জোটের শরিক রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে নিরাপত্তা জোটের সম্ভাবনার কথা জানান। কূটনৈতিক শিবিরের মতে তাকাইচি কোয়াডধর্মী চিন-বিরোধী জোটের চিন্তাভাবনা করছেন, যেখানে দিল্লিকে মাথায় রাখলেও বাদ দেওয়া হচ্ছে আমেরিকাকে। সব দিক থেকেই এই মুহূর্তে যা ভারতের কাছে মাপসই অক্ষ।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, তাকাইচির চিন্তা অনুসারে ভারত এই মুহূর্তে জাপানের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে অগ্রগণ্য। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রনীতিতে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে প্রাক্তন শিনজো আবে সরকার ভারতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে আবে-র উত্তরসূরি তাকাইচিও সেই পথেই হাঁটবেন বলে মনেকরা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)