E-Paper

সিএএ-কে কোন চোখে দেখছে প্রতিবেশীরা, নজর কূটনীতিকদের

তিব্বত থেকে আসা শরণার্থী, শ্রীলঙ্কার তামিল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের চাকমা, রোহিঙ্গা শরণার্থী, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, মুসলমান, শিখ বিভিন্ন সময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:০০
An image of Amit Shah

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) চালু হওয়ার পরে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি কেমন থাকে সে দিকে নজর রাখছে কূটনৈতিক শিবির। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গোটা অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে এবং উদার গণতন্ত্রের পতাকাবাহক ভারত বরাবরই উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে সহনশীল। তিব্বত থেকে আসা শরণার্থী, শ্রীলঙ্কার তামিল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের চাকমা, রোহিঙ্গা শরণার্থী, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, মুসলমান, শিখ বিভিন্ন সময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। দশকের পর দশক ভারত তাদের আশ্রয়ও দিয়েছে।

কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের বক্তব্য, ভারত অবশ্যই নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসবে না। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি কোনও বিশেষ ধর্মকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়, তা হলে বিষয়টি মুসলিম প্রধান দেশের সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বস্ত করেছে এই আইন ভারতীয় মুসলিমদের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু উপমহাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এই বার্তটিই উঠে আসছে যে এই আইন মুসলিম-বিরোধী। যে রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক স্তরে উদার, সকলকে নিয়ে চলা, নেতৃত্বদানকারী শক্তি তথা বিশ্বগুরু হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় এগোচ্ছে, এর ফলে তাতে দাগ পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার এক মাস পরে ভারতে এসে বাংলাদেশের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতে কোনও অস্থিরতা তৈরি হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। তবে এটা যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সে কথাও জানিয়েছিলেন সঙ্গে। কিন্তু তারপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারিনি ভারত সরকার কেন এটা (সিএএ) করল। এর কোনও প্রয়োজন ছিল না।’’

সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে ঢাকা এখনও চুপই। কিন্তু সে দেশে জাতীয় নির্বাচনের পর যে ভারত-বিদ্বেষের হাওয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এই বিষয়টি নতুন করে ইন্ধন জোগাবে কিনা উঠছে সেই প্রশ্নও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CAA India neighbour countries Anti CAA

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy