আবহাওয়ার খানিক উন্নতি হওয়ায় উত্তর সিকিমের একাংশ থেকে আটক পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হল। সোমবার সকাল থেকে লাচুঙে আটকে থাকা পর্যটকদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, লাচেন থেকে পর্যটকদের নামিয়ে আনার কাজ সহজ নয়। সেখান থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে। অন্য দিকে, সিকিমের ছাতেনে ধস নেমে একটি সেনাক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ ছয় জওয়ান। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ধসটি নামে।
আটক পর্যটকদের উদ্ধার করতে তৎপর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনা। পর্যটকদের উপদ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে বিকল্প পথ এবং উপায় খুঁজছে প্রশাসনও। তবে পর্যটকদের উদ্ধারে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন লাচুং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরাও। উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় রবিবার রাত পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টি হলেও সোমবার সকালে অনেক জায়গাতেই রোদের দেখা মিলেছে। তার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। সোমবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৮টি গাড়িতে ১০০-রও বেশি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় লাচুংপা সম্প্রদায়ের মানুষজনও। এই সম্প্রদায়ের অনেক মানুষই স্থানীয় হোটেলের মালিক। সোমবার সকালে আবহাওয়ার উন্নতি হতেই তাঁদের অনেকে আটকে থাকা পর্যটকদের ব্যাগ বয়ে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোলেন।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর সিকিম। জায়গায় জায়গায় ধস নেমে উত্তর সিকিমের বেশ কিছু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানে আটকে থাকা পর্যটকদের রবিবারও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে নেমেছে ধস। এর ফলে সেখানকার বহু এলাকা বাকি ভূখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েন পর্যটকেরা। শনিবার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছিল, সেই সংখ্যাটা প্রায় দেড় হাজার। সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে আগেই তাঁদের হোটেল এবং হোমস্টেতে থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর সিকিমের অনেক জায়গাতেই এখনও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। চুংথাঙে জলের সমস্যা রয়েছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে।