নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
কেন্দ্রীয় বাজেট সমাজের প্রতিটি শ্রেণিকে শক্তিশালী করবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বক্তৃতা করতে উঠে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বাজেটের প্রশংসা করে মোদী বলেন, “এটি সমাজের সব শ্রেণিকে শক্তিশালী করবে। এই বাজেট দেশের গরিব মানুষ, গ্রাম এবং কৃষককে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।” মোদী তাঁর ভাষণে আলাদা করে উল্লেখ করেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির কথা। তাঁর কথায়, “এই বাজেট নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তি জোগাবে।” বাজেটে মহিলা এবং ছোট ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে বলে জানান মোদী।
মোদীর ভাষণে গুরুত্ব দেওয়া হয় কর্মসংস্থানকেও। নির্মলার ঘোষণাকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “কাজের বহু সুযোগ তৈরি হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা নতুন পেশাজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্যনিধিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও। নির্মলা সংসদে জানান, প্রথম যাঁরা কাজে ঢুকছেন, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক মাসের বেতন জমা দেওয়া হবে। তা ছাড়া আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি যুবক-যুবতীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “এর ফলে গ্রামীণ এলাকার যুবকেরাও শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ পাবেন।”
বিহারের সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে এ বারের বাজেটে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিহারের বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পটনা-পূর্ণিয়া, বক্সার-ভাগলপুরের ভিতর এক্সপ্রেসওয়ে উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়াও বুদ্ধগয়া, রাজগির, বৈশালী এবং দ্বারভাঙাতে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই খাতে মোট ২৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
বিহারের পর অন্ধ্রপ্রদেশ। এ বারের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল। সেই নির্বাচনে জগন্মোহনের দলকে হারিয়ে জয় পায় চন্দ্রবাবুর দল। আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ফেরেন চন্দ্রবাবু। ফিরেই অমরাবতীকে রাজ্যের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু এই শহরের পরিকাঠামো তেমন উন্নত নয়। এ বারের বাজেটে চন্দ্রবাবুর সেই স্বপ্নই পূরণ করল কেন্দ্র। রাজধানী অমরাবতী গড়ে তোলা ও অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটকে দুই শরিক দল নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপিকে তুষ্ট করার বাজেট বলে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও বিহার এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy